পুরাতন ব্রহ্মপুত্রের শাখা নদী শীতলক্ষ্যা। গাজীপুর জেলার টোক নামক স্থানে দুটি ধারায় বিভক্ত হয়েছে পুরাতন ব্রহ্মপুত্র, যার একটি বানার। এই বানারই দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে প্রবাহিত হয়ে লাকপুর এসে শীতলক্ষ্যা নাম ধারণ করে বৃহত্তর ঢাকা জেলার পূর্ব পাশ দিয়ে বয়ে গেছে। কলাগাছিয়ার কাছে ধলেশ্ব¦রীতে এসে শীতলক্ষ্যার এই বহমানতার অবসান হয়েছে। আবার ব্রহ্মপুত্রের পুরাতন প্রবাহকে লাক্ষ্যা এবং লাকপুরের প্রবাহকে নতুন লাক্ষ্যা নদীও বলা হয়।
লাক্ষ্যা, লক্ষ্যা, শীতললক্ষ্যা অতঃপর শীতলক্ষ্যা। এখন এই নামেই পরিচয় পুরাতন ব্রহ্মপুত্রের শাখা নদীটির। এর উৎপত্তি ও প্রবাহ সম্পর্কে ইতিহাসবিদ নীহাররঞ্জন রায় তার ‘বাঙালীর ইতিহাস-আদি পর্ব’ গ্রন্থে লিখেছেন-ঢাকা জেলার উত্তরে ব্রহ্মপুত্র প্রবাহের ডান দিক থেকে একটি শাখা-প্রবাহ নির্গত হয়েছে। এর নামই লক্ষ্যা বা শীতললক্ষ্যা বা শীতলক্ষ্যা, ফান ডেন ব্রোক যাকে অভিহিত করেছেন লেকি (খবপশর) নামে। এই লক্ষ্যা বা শীতলক্ষ্যা ব্রহ্মপুত্রের পশ্চিম দিক দিয়ে ব্রহ্মপুত্রেরই সমান্তরালে প্রবাহিত হয়ে বর্তমান ঢাকার দক্ষিণে (ব্রহ্মপুত্র-ধলেশ্বরী-সংগমের কিঞ্চিৎ দক্ষিণে) নারায়ণগঞ্জের কাছে ধলেশ্বরীর সাথে মিলিত হতো। লক্ষ্যার এই প্রবাহ এখনো বর্তমান, কিন্তু ধারা ক্ষীণ। অথচ ফান ডেন ব্রোকের আমলে, এমনকি ঊনবিংশ শতকের গোড়ার দিকেও লক্ষ্যা ছিল প্রশস্ত ও বেগবতী নদী।
অন্যভাবে বললে, শীতলক্ষ্যা ব্রহ্মপুত্রের প্রবাহেরই এক অঞ্চলের নাম, পুরাতন ব্রহ্মপুত্রের শাখা নদী। গাজীপুর জেলার টোক নামক স্থানে দুটি ধারায় বিভক্ত হয়েছে পুরাতন ব্রহ্মপুত্র, যার একটি বানার। এই বানারই দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে প্রবাহিত হয়ে লাকপুর এসে শীতলক্ষ্যা নাম ধারণ করে বৃহত্তর ঢাকা জেলার পূর্ব পাশ দিয়ে বয়ে গেছে। কলাগাছিয়ার কাছে ধলেশ্বরীতে এসে শীতলক্ষ্যার এই বহমানতার অবসান হয়েছে। আবার ব্রহ্মপুত্রের পুরাতন প্রবাহকে লাক্ষ্যা এবং লাকপুরের প্রবাহকে নতুন লাক্ষ্যা নদীও বলা হয়। সুতী, চিলাই ও বালু শীতলক্ষ্যারই উপনদী।