স্থানীয় প্রশাসনের সহায়তায় সারা দেশে ৭৭০-এর বেশি নদী চিহ্নিত করেছে জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন (এনআরসিসি)। এর আগে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সারা দেশে নদী চিহ্নিত করেছিল ৪০৫টি।
নদী দিবস উপলক্ষে ২৮ সেপ্টেম্বর এনআরসিসি আয়োজিত অনলাইন সেমিনারে কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মুজিবুর রহমান হাওলাদার এই তথ্য তুলে ধরে বলেন, সারা দেশে নদ-নদীর উপাত্ত সংগ্রহের কাজ চলমান আছে। জরিপ ও বাংলাদেশ স্পেস রিসার্চ অ্যান্ড রিমোট সেন্সিং অর্গানাইজেশনের (স্পারসো) সহায়তায় ম্যাপিংয়ের মাধ্যমে দেশে নদ-নদীর প্রকৃত সংখ্যা জানা সম্ভব হবে।
৪ ঘণ্টাব্যাপী সেমিনারে এনআরসিসি চেয়ারম্যান ও সদস্যরা নদী রক্ষায় আইন প্রয়োগের ওপর জোর দেন। তারা বলেন, সংবিধান ও সুপ্রিমকোর্টের একাধিক রায়ে সরকারি কর্মকর্তাদের এই ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে।
সেমিনারে এনআরসিসির আট বিভাগের কর্মকর্তারা ছাড়াও সারা দেশের জেলা প্রশাসক, পরিবেশ অধিদপ্তর ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রতিনিধি, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, গবেষক এবং সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা অংশ নেন। চট্টগ্রাম, সিলেট, বরিশাল, নারায়ণগঞ্জ, ময়মনসিংহ, জামালপুর, রাজশাহী, রংপুর, বরগুনা, ফেনীসহ বিভিন্ন জেলার নদী নিয়ে আলোচনা হয় সেমিনারে।
চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ের একজন কর্মকর্তা বলেন, কর্ণফুলী নদীর জমি ইজারা দেওয়া হয়ে থাকলে তা বাতিল করা হবে। সিলেট বিভাগের একজন কর্মকর্তা বলেন, এই অঞ্চলের নদীগুলো থেকে বালি ও পাথর উত্তোলন বন্ধ করতে বেগ পেতে হচ্ছে। তবে নদীগুলো বাঁচাতে বালি ও পাথর উত্তোলন বন্ধের বিকল্প নেই। অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদে পর্যাপ্ত তহবিল, জনবল ও সরঞ্জামের অভাবের কথা উল্লেখ করেন বিভিন্ন জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা।