শেরপুরে ব্রহ্মপুত্র সেতু-সংলগ্ন স্থানে পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদের (শেরপুর জেলাধীন) ড্রেজিং কার্যক্রম ২০২০ সালের ৩১ অক্টোবর শুরু হয়েছে। প্রকল্পটির অধীনে পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদের শেরপুর অংশে ১৮ কিলোমিটার ড্রেজিং করা হবে। শেরপুর সদর উপজেলার ব্রহ্মপুত্র সেতু থেকে জঙ্গলদী চর হয়ে ভাটিপাড়া চর পর্যন্ত ১৮ কিলোমিটারে ৫৫ দশমিক ৭৮ লাখ ঘনমিটার ক্যাপিটাল ড্রেজিং করা হবে। এছাড়া মেইনটেন্যান্স ড্রেজিং করা হবে ৪১ দশমিক ৮৪ লাখ ঘনমিটার। এজন্য ব্যয় হবে ১৬৯ কোটি ২২ লাখ টাকা। ২০২৪ সালের জুনে প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। এর ফলে নৌপথটি দিয়ে সারা বছর যাত্রী ও পণ্যবাহী নৌযান নির্বিঘেœ ও নিরাপদে চলাচল করতে পারবে। কৃষিকাজের প্রয়োজনে সেচ ও মৎস্য চাষেও এটি সহায়ক হবে।
ড্রেজিং কাজের উদ্বোধন করে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহ্মুদ চৌধুরী এমপি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার অঙ্গীকার শত বছরের পুরনো নদীর গতিপথ ফিরিয়ে আনা। বঙ্গবন্ধুকন্যা নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দেশ ও জনগণের জন্য নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন; তারই ফলশ্রুতিতে সারা দেশে ১০ হাজার কিলোমিটার নৌপথ খনন করা হবে।
প্রতিমন্ত্রী পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদের ২২৭ কিলোমিটার নৌপথ খননকাজে স্থানীয় জনগণের সহযোগিতা কামনা করেন। তিনি বলেন, পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদ খননের মাধ্যমে এই এলাকা বিশেষ করে জামালপুর-শেরপুর জেলার সাথে নৌপথে বিভিন্ন জেলাসহ প্রতিবেশী দেশের নৌবাণিজ্য বাড়বে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) চেয়ারম্যান কমডোর গোলাম সাদেকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জাতীয় সংসদের হুইপ বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আতিউর রহমান আতিক, সংসদ সদস্য আনোয়ার হোসাইন খান, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব আব্দুস সামাদ, শেরপুর পৌরসভার মেয়র গোলাম মোহাম্মদ কিবরিয়া লিটন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক এটিএম জিয়াউল ইসলাম ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আমিনুল ইসলাম।
উল্লেখ্য, বর্তমান সরকার ১০ হাজার কিলোমিটার নৌপথ খননের মাধ্যমে নাব্যতা পুনরুদ্ধারের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। নাব্যতা রক্ষা ছাড়াও অভ্যন্তরীণ নৌপথ পুনরুদ্ধারের জন্য সারা বছর ক্যাপিটাল ড্রেজিংয়ের লক্ষ্যে ‘পুরাতন ব্রহ্মপুত্র, ধরলা, তুলাই এবং পুনর্ভবা নদীর নাব্যতা উন্নয়ন ও পুনরুদ্ধার’ প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। এই প্রকল্পের অধীনেই শেরপুর জেলার পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদের ১৮ কিলোমিটার খনন করা হবে।