শীতলক্ষ্যা নদীর তীরে গড়ে ওঠা অবৈধ স্থাপনা অপসারণ এবং সীমানা পিলার স্থাপনসহ প্রকল্পের কাজ চলবে বলে জানিয়েছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহ্মুদ চৌধুরী এমপি। ২৮ জানুয়ারি মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ‘নারায়ণগঞ্জ নদীবন্দরের নিয়ন্ত্রণাধীন নারায়ণগঞ্জ জেলার বন্দর উপজেলায় সিএসডি গুদাম থেকে ডিইপিটিসি পর্যন্ত শীতলক্ষ্যা নদীর তীরে গড়ে ওঠা অবৈধ স্থাপনা অপসারণ’-সংক্রান্ত বৈঠকে এ কথা বলেন তিনি।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, মেইন সীমানা পিলার স্থাপন করা হবে। জরিপ করার দরকার হলে সিএস নকশা অনুযায়ী সেটি করা হবে। নারায়ণগঞ্জে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের কাছ থেকে জমি ইজারা নিয়ে যারা ইজারার শর্ত ভঙ্গ করেছে, তাদেরকে আইনের আওতায় আনতে হবে, জবাবদিহির আওতায় আনতে হবে। এক্ষেত্রে সরকার শক্ত অবস্থানে আছে।
বৈঠকে অন্যদের মধ্যে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভী, বস্ত্র ও পাট সচিব লোকমান হোসেন মিয়া, নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ্ উদ্দিন চৌধুরী, বিআইডব্লিউটিএ চেয়ারম্যান কমডোর গোলাম সাদেক, প্রকল্প পরিচালক মো. নুরুল আলম এবং নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোস্তাইন বিল্লাহ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, ২০১০ সালের ৯ মার্চ থেকে ২০২১ সালের ১২ জানুয়ারি পর্যন্ত নারায়ণগঞ্জ নদীবন্দর এলাকায় ৫ হাজার ২৩৭টি অবৈধ স্থাপনা অপসারণ করা হয়েছে। এছাড়া ২৬০ দশমিক ৪ একর জমি উদ্ধার, ৬৫ লাখ ৫১ হাজার টাকা জরিমানা এবং ৬ কোটি ২২ লাখ ৯৪ হাজার টাকার পণ্য নিলাম করা হয়েছে।
সীমানা পিলার স্থাপন, ওয়াকওয়ে নির্মাণ, বনায়ন, ইকোপার্ক নির্মাণ সংক্রান্ত (২য় পর্যায়) প্রকল্পের মাধ্যমে নারায়ণগঞ্জ নদীবন্দরে মোট ২ হাজার ৪০০টি পিলার স্থাপনের লক্ষ্যে ২০২০ সালের ৫ জুলাই থেকে প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। এর মধ্যে ১ হাজার ১৭৫টি পিলারের লে-আউট প্রদান করা হয়, যার মধ্যে দৃশ্যমান পিলারের সংখ্যা ২৬৬টি, আংশিক নির্মাণাধীন পিলারের সংখ্যা ৬৩১টি এবং বাকিগুলোর কাজ চলমান রয়েছে।
নারায়ণগঞ্জের এনায়েতনগর, গঙ্গাকুল ‘ম’ খ- এবং একরামপুর মৌজায় ৫৭টি অবৈধ স্থাপনার তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে। এগুলোর মধ্যে পাকা আবাসিক ২৭টি, আধাপাকা আবাসিক ১১টি, পাকা দোকান ৭টি, আধাপাকা মার্কেট তিনটি, আধাপাকা দোকানঘর আটটি এবং আধাপাকা ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান একটি।
