পদ্মা নদীর তীরকে কেন্দ্র করে রাজশাহী সিটি করপোরেশন বিভিন্ন ধরনের উন্নয়নমূলক ও সৌন্দর্যবর্ধন কর্মসূচি হাতে নেওয়ায় এখানকার পদ্মার পাড় শিগগিরই নতুন রূপ পাবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। সিটি করপোরেশন পদ্মার তীরে সীমানাপ্রাচীর, নান্দনিক রেলিং, ওয়াকওয়ে, বসার স্থান ও ক্যাফেটেরিয়াসহ বিভিন্ন অবকাঠামো কাঠামো নির্মাণ প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। এতে ব্যয় হচ্ছে ২ কোটি ৮৮ লাখ টাকা।
দর্শনার্থীদের যাতায়াতের সুবিধার্থে ৯৮ লাখ ১৫ হাজার টাকা ব্যয়ে দুটি সেতু নির্মাণের কাজ এরই মধ্যে সম্পন্ন করা হয়েছে। অতি সম্প্রতি নদীতীর বরাবর পর্যটকদের জন্য বিচবাইক ও চেয়ারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। পাশাপাশি অবকাঠানো উন্নয়ন প্রকল্পের অধীনে বিনোদন স্পট, উন্মুক্ত মঞ্চ, গ্যালারি, পার্ক, ওভারব্রিজ, ওয়াকওয়ে ও প্রয়োজনানুগ অন্যান্য অবকাঠামোও নির্মাণ করা হয়েছে।
গত ২ ফেব্রুয়ারি এসব উন্নয়নকাজ পরিদর্শন করেন রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন। এ সময় তিনি বলেন, এসব অবকাঠামো ও সুযোগ-সুবিধার কারণে লাকজন তাদের অবসর সময় পরিবার ও বন্ধুবান্ধব নিয়ে পদ্মার তীরে কাটাতে আগ্রহী হয়ে উঠছেন। শহর রক্ষা বাঁধসংলগ্ন একটি উপশহর গড়ে তোলার জন্য পদ্মায় ১২ কিলোমিটার ভূমি উদ্ধারের পরিকল্পনাও আমাদের রয়েছে। পদ্মার প্রবাহ যেহেতু ডান তীরের দিকে সরে আসছে, তাই উপশহরটি গড়ে তুলতে হবে বাম তীরে। পরিকল্পনা সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করতে পারলে রাজশাহী নান্দনিক শহরে রূপান্তরিত হবে।