যশোরের সীমান্তবর্তী হাকর নদীর খননকাজ শুরু করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। ৯ জানুয়ারি সকাল থেকে খনন কাজ শুরু হয়।প্রাথমিকভাবে বেনাপোলের সাদিপুর চেকপোস্ট থেকে নারায়ণপুর পর্যন্ত পাঁচ কিলোমিটার খনন করা হবে। ২২ কিলোমিটার দীর্ঘ কোদলা নদীর বাকি অংশ পরবর্তীতে ধাপে ধাপে খনন করে বিভিন্ন বিলের সাথে সংযুক্ত করা হবে।
যশোরের সীমান্তবর্তী শার্শা উপজেলার বেনাপোলের সাদিপুর গ্রামে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের ১৮ নম্বর সীমানা পিলার এলাকা দিয়ে হাকর নদী বাংলাদেশে ঢুকেছে। এরপর উপজেলার বড়আঁচড়া, ছোটআঁচড়া, ভবারবেড়, বেনাপোল ও নারায়ণপুর মৌজার মধ্য দিয়ে রঘুনাথপুরের কোদলা নদী হয়ে বেতনা নদীর সাথে মিশেছে।
নদীটি খননের ফলে বন্যার প্রকোপ থেকে স্থানীয়রা রক্ষা পাবেন এবং একে দখল করে গড়ে উঠা ভবন, মাছের ঘের, পুকুরসহ নানা স্থাপনাও এ সময় উচ্ছেদ করে নদীর স্বাভাবিক গতিপ্রবাহ ফিরিয়ে আনা হবে।
১৯৫৫ সালের পর থেকে হাকর নদীর দুই তীরের জমির দখল শুরু করে। এ কারণে আন্তঃসীমান্ত নদীটি নাব্যতা হারায়। পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা না থাকায় প্রতি বছর শার্শা উপজেলার বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়ে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়।