মেঘনাঘাট নদীবন্দর ও দাউদকান্দি-বাউশিয়া নদীবন্দরের সীমানাভুক্ত তীরভূমির সঠিক ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসন, বিআইডব্লিউটিএ, পানি উন্নয়ন বোর্ড, ভূমি জরিপ ও রেকর্ড অধিদপ্তর এবং গণপূর্ত অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে পৃথক চারট কমিটি গঠন করা হয়েছে।
কমিটি কর্তৃক যৌথ জরিপের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতিও হয়েছে।
মেঘনাঘাট নদীবন্দরের নিয়ন্ত্রণাধীন কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি উপজেলাধীন অংশের সীমানা জরিপ ও পিলার স্থাপনের কাজ সম্পন্ন হয়েছে এবং প্রস্তুতকৃত ফোরশোর ম্যাপে যৌথ জরিপ কমিটির স্বাক্ষরসহ সংশ্লিষ্ট এসিল্যান্ড স্বাক্ষর করেছেন। এ ছাড়া মুন্সিগঞ্জ জেলার গজারিয়া উপজেলাধীন অংশে তীরভূমির যৌথ জরিপকাজ সম্পন্ন পূর্বক পিলার স্থাপন কাজ সম্পন্ন হয়েছে এবং প্রস্তুতকৃত ফোরশোর ম্যাপ যৌথ জরিপ কমিটির স্বাক্ষরসহ সংশ্লিষ্ট এসিল্যান্ড স্বাক্ষর করেছেন।
মুন্সিগঞ্জ জেলার গজারিয়া উপজেলা সদরের রসুলপুর ফেরিঘাট থেকে সংশ্লিষ্ট মৌজা হয়ে গজারিয়া লঞ্চঘাট পর্যন্ত তীরভূমির যৌথ জরিপ ও পিলার স্থাপনের কাজ শেষে ফোরশোর ম্যাপ প্রস্তুত করা হয়েছে। ম্যাপে যৌথ জরিপ কমিটির স্বাক্ষরসহ সংশ্লিষ্ট এসিল্যান্ড অফিসের সার্ভেয়ারের স্বাক্ষর হয়েছে। ফোরশোর ম্যাপে সংশ্লিষ্ট এসিল্যান্ডের স্বাক্ষর প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। মুন্সিগঞ্জ জেলার গজারিয়া লঞ্চাঘাট থেকে হোসেন্দী মৌজা, জামালদী মৌজা, তেতুইতলা মৌজা হয়ে রায়পাড়া মৌজার বন্দর সীমানা পর্যন্ত জরিপ কাজ সম্পন্ন হয়েছে এবং পিলার স্থাপন কাজ চলমান রয়েছে। উক্ত অংশের ফোরশোর ম্যাপ কর্তৃপক্ষের প্রকৌশল বিভাগ থেকে এখনো প্রস্তুত করা হয়নি। ফোরশোর ম্যাপ প্রস্তুত পরবর্তী দ্রুততম সময়ের মধ্যে যৌথ জরিপ কমিটির স্বাক্ষর নেওয়া হবে।
এ ছাড়া, মেঘনাঘাট নদীবন্দরের নিয়ন্ত্রণাধীন নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁ উপজেলা অংশে নদীর তীরভূমির যৌথ জরিপ এবং পিলার স্থাপন কাজ চলমান রয়েছে। চলতি অক্টোবর মাসের মধ্যে জরিপ কাজ সম্পন্ন হবে বলে আশা করা হচ্ছে।