নিরাপত্তার পাশাপাশি কাস্টমস ক্লিয়ারেন্স ও ইমিগ্রেশন সহজ করা গেলে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে নৌ পর্যটন বাড়বে বলে মত দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। ২৯ এপ্রিল এক ভার্চুয়াল আলোচনা অনুষ্ঠানে এ অভিমত ব্যক্ত করেন তারা।
সুইডিশ ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট এজেন্সি (সিডা) ও অক্সফামের সহযোগিতায় বাংলাদেশ-ভারত পর্যটন ও ক্রুজ অপারেশন নিয়ে ভার্চুয়াল আলোচনা অনুষ্ঠানটির আয়োজন করে রাজস্থানভিত্তিক বেসরকারি সংস্থা কাটস ইন্টারন্যাশনাল। সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক বিপুল চ্যাটার্জি বলেন, বাংলাদেশ-ভারত পর্যটন আর্থসামাজিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। পরিবেশ ও সংস্কৃতি সংরক্ষণেও ভূমিকা রাখবে এটি। অবকাঠামো উন্নয়নের পাশাপাশি সঠিক ও সহজ নিয়ন্ত্রণ এবং জনসচেতনতা বাড়ানো গেলে টেকসই নৌ পর্যটন বাড়বে।
মেরিটাইম ইন্ডিয়া ভিশন ২০৩০-এর আলোকে বাংলাদেশের সাথে সহযোগিতার ভিত্তিতে ভারত ক্রুজ শিপিংয়ের গন্তব্য হওয়ার জন্য উন্নয়ন কার্যক্রম পরিচালনা করছে বলে জানান ভারতের অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান অমিতা প্রসাদ।
বিশ্বের অনন্য বদ্বীপ হওয়ায় নৌ পর্যটন এই অর্থনৈতিক সম্ভাবনা উন্মোচন করবে বলে মনে করেন বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) চেয়ারম্যান কমোডর গোলাম সাদেক। ভার্চুয়াল আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি বলেন, রেগুলেশনের বিষয়টি এর সাথে সম্পর্কিত। বেসরকারি খাত এখন ব্যাপক ভিত্তিতে কাজ করতে পারে এবং মহামারী শেষ হলে বিপণন শুরু করতে পারে।
পর্যটকরা কেবল জাহাজে বন্দি হয়ে থাকতে চান না, পাশাপাশি তারা ঐতিহাসিক স্থান, স্থানীয় কমিউনিটিগুলোতে যেতে এবং ওয়াটার স্পোর্টেও অংশ নিতে চান বলে জানান জার্নি প্লাসের (বাংলাদেশ) প্রধান নির্বাহী তৌফিক রহমান। তিনি বলেন, পর্যটন খাতের উন্নয়নের মাধ্যমে এগুলো নিশ্চিত করতে হবে। একটি মেরিটাইম জাদুঘর প্রতিষ্ঠার কথাও ভেবে দেখতে পারে কর্তৃপক্ষ।
সড়কপথে যেখানে যাওয়া সম্ভব নয় নৌরুট দিয়ে পর্যটকদের সেখানে পৌঁছে দেওয়া সম্ভব বলে জানান হেরিটেজ রিভার ক্রুজেজের পরিচালক রাজ সিংহ। টেকসই নৌ পর্যটনের জন্য আধুনিক জেটি, প্রযুক্তিগতভাবে উন্নত জাহাজ ও দূষণমুক্ত শোরের পক্ষে মত তুলে ধরেন তিনি।