অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন খাতে কর্মরতদের মধ্যে প্রাতিষ্ঠানিক নিয়োগপ্রাপ্ত ও স্বনিয়োজিত উভয় ধরনের কর্মী থাকলেও বেশিরভাগের নিয়োগই অনানুষ্ঠানিক। বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন খাতে প্রাধান্য স্বনিয়োজিত কর্মীদের। আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) ‘অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন খাতে শোভন ও টেকসই কর্মসংস্থান ২০২৩’ শীর্ষক প্রতিবেদন অনুযায়ী, বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন খাতের কর্মীদের ৬৭ শতাংশই স্বনিয়োজিত। এর বিপরীতে প্রাতিষ্ঠানিক নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মীদের হার ২৬ শতাংশ। যদিও এশিয়ারই আরেক দেশ ফিলিপিন্সের চিত্রটা এর ঠিক বিপরীতে। দেশটির অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন খাতের কর্মীদের ৮২ শতাংশই প্রাতিষ্ঠানিক নিয়োগপ্রাপ্ত। অন্যদিকে স্বনিয়োজিত কর্মী মাত্র ১৭ শতাংশ।
আইএলওর তথ্য অনুযায়ী, এশিয়ার অন্যান্য দেশের মধ্যে ভারতের অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন খাতের কর্মীদের ৩৩ শতাংশ প্রাতিষ্ঠানিক নিয়োগপ্রাপ্ত। আবার পাকিন্তানে প্রাতিষ্ঠানিক নিয়োগপ্রাপ্ত অভ্যন্তরীণ নৌকর্মী নেই বললেই চলে। দেশটির অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহ খাতে কর্মরতদের ৮৭ শতাংশই স্বনিয়োজিত।
এ ছাড়া থাইল্যান্ডে অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন খাতের কর্মীদের ৬৭ শতাংশ স্বনিয়োজিত। দেশটিতে প্রাতিষ্ঠানিক নিয়োগপ্রাপ্ত অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্মীর হার ২৪ শতাংশ। মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন খাতে ৪২ শতাংশ প্রাতিষ্ঠানিক নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মীর বিপরীতে স্বনিয়োজিত কর্মীর হার ৫১ শতাংশ।
ইন্টারন্যাশনাল ক্লাসিফিকেশন অব স্ট্যাটাস ইন এমপ্লয়মেন্ট (আইসিএসইÑ৯৩) অনুযায়ী অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন খাতে কর্মসংস্থানকে মোটা দাগে দুটি শ্রেণিতে ভাগ করা হয়েছে। এর একটি হচ্ছে বেতনভুক্ত চাকরি। এই শ্রেণিতে কর্মীরা মূল বেতনের ভিত্তিতে চুক্তিতে আবদ্ধ হন এবং তারা নিয়োগদাতার বা তার নিয়োজিত প্রতিনিধির তত্ত্বাবধানে কাজ করেন। অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন খাতে তাদের নিয়োগদাতা অভ্যন্তরীণ নৌপথে পণ্য ও যাত্রী পরিবহন সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান।
স্বনিয়োজিত কর্মসংস্থানে কর্মীরা নিজেরা অথবা এক বা একাধিক অংশীদার মিলে কাজ করেন। এই শ্রেণিতে রয়েছে নিয়োগদাতা, যারা এক বা একাধিক ব্যক্তির ব্যবসায় অনেকটা নিয়োগপ্রাপ্তের মতো ধারাবাহিকভাবে কাজ করেন। আরেকটি উপ-শ্রেণি রয়েছে, যারা কোনো নিয়োগদাতার জন্য ধারাবাহিকভিত্তিতে কাজ করেন না। পারিবারিক কর্মী হিসেবে কাজ করেন এমন কর্মীরাও স্বনিয়োজিত কর্মীর শ্রেণিতে পড়েন।