দক্ষিণাঞ্চলের নদীবন্দর ও লঞ্চঘাটগুলোর উন্নয়নে যথেষ্ট কাজ হয়েছে জানিয়ে নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহ্মুদ চৌধুরী এমপি বলেছেন, গলাচিপা লঞ্চঘাটে একটি পন্টুন ও একটি জেটি রয়েছে। টার্মিনাল নির্মাণ করে এটিকে নদীবন্দরের উপযোগী করে তোলা হবে।
প্রতিমন্ত্রী ১৮ জুন পটুয়াখালী জেলার গলাচিপা, পানপট্টি, বদনাতলী, আউলিয়াপুর ও হাজিরহাট (দশমিনা) লঞ্চঘাট পরিদর্শনকালে এসব কথা বলেন। অন্যান্যের মধ্যে সংসদ সদস্য এস এম শাহজাদা, বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান কমোডর গোলাম সাদেক, সদস্য (পরিকল্পনা ও পরিচালন) মো. দেলোয়ার হোসেন, প্রধান প্রকৌশলী (ড্রেজিং) মো. আব্দুল মতিন এবং প্রধান প্রকৌশলী (পুর) মাঈদুল ইসলাম এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
গলাচিপা লঞ্চঘাটটি ১৯৭৫ সালে চালু হয়। পৌরসভার রামনাবাদ নদীর তীরে অবস্থিত ঘাটটি। যাত্রী সাধারণের লঞ্চে ওঠানামার জন্য ঘাটে একটি পন্টুন ও একটি জেটি রয়েছে। প্রতিদিন এ ঘাট দিয়ে একটি ডাবল ডেকার ও গলাচিপা থেকে রাঙ্গাবালী রুটে দুটি একতলা লঞ্চ চলাচল করে। ঢাকা-গলাচিপা নৌপথের দূরত্ব ২৭৪ কিলোমিটার।
পটুয়াখালীর আরেকটি লঞ্চঘাট পানপট্টি চালু হয় ১৯৮৭ সালে। ঘাটটি গলাচিপা উপজেলার পানপট্টি ইউনিয়নের বুড়াগৌরাঙ্গ নদীর তীরে অবস্থিত। ঘাটটিতে একটি পন্টুন স্পাড ও জেটি নির্মাণ করা হলেও নদীভাঙনের কারণে জেটিটি নদীতে বিলীন হয়ে যায়। বর্তমানে ঘাটে একটি পন্টুন রয়েছে এবং নতুন করে একটি জেটি নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে। প্রতিদিন ঘাটটি দিয়ে গলাচিপা-রাঙ্গাবালী রুটে দুটি একতলা লঞ্চ চলাচল করে।
হাজিরহাট লঞ্চঘাটটি ২০০৪ সালে চালু হয়। ঘাটটি পটুয়াখালী জেলার দশমিনা উপজেলার সদরে বুড়াগৌরাঙ্গ নদীর তীরে অবস্থিত। যাত্রী সাধারণের লঞ্চে ওঠানামার জন্য একটি পন্টুন রয়েছে। প্রতিদিন ঘাটটি দিয়ে দুটি ডাবল ডেকার এবং দুটি একতলা লঞ্চ চলাচল করে।
পটুয়াখালী জেলার গলাচিপা উপজেলার রতনদি তালতলী ইউনিয়নে বুড়াগৌরাঙ্গ নদীর তীরে অবস্থিত বন্যাতলী লঞ্চঘাটটি চালু হয় ২০০৯ সালে। লঞ্চে যাত্রী ওঠানামার জন্য ঘাটে একটি পন্টুন ও একটি জেটি রয়েছে। প্রতিদিন ঘাটটি দিয়ে একটি ডাবল ডেকার ও তিনটি একতলা লঞ্চ চলাচল করে।
পটুয়াখালী জেলার দশমিনা উপজেলার রনগোপালদী ইউনিয়নে বুড়াগৌরাঙ্গ নদীর তীরে অবস্থিত আউলিয়াপুর লঞ্চঘাটটি ২০১৯ সালে চালু হয়। লঞ্চে যাত্রী ওঠানামার জন্য ঘাটে একটি পন্টুন রয়েছে। প্রতিদিন ঘাটটি দিয়ে একটি ডাবল ডেকার ও দুটি একতলা লঞ্চ চলাচল করে।
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিভিন্ন লঞ্চঘাটে পন্টুন গ্যাংওয়ে স্থাপন করা হয়েছে। নদীভাঙন এ অঞ্চলের মূল সমস্যা। বর্ষা মৌসুমে সমুদ্র উত্তাল থাকে। নদী পারাপারে মানুষের অনেক সমস্যা হয়। ঝুঁকি নিয়ে মানুষ নদী পার হয়। ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় সি-ট্রাক দেওয়ার বিষয়টি সরকারের বিবেচনায় রয়েছে। নদীভাঙনের ফলে অনেক লঞ্চঘাটে পন্টুন ও গ্যাংওয়ে সরে গেছে। সেগুলো মেরামতের কাজ করা হবে।