স্মার্ট বাংলাদেশ নির্মাণে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনকে কাজে লাগাতে হবে উল্লেখ করে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহ্মুদ চৌধুরী, এমপি বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর দর্শন, আদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারণ করে আমরা স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলব। নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় এক্ষেত্রে সহযাত্রীর ভূমিকায় থাকবে।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৩তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষ্যে ১৭ মার্চ মতিঝিলে বিআইডব্লিউটিএ কার্যালয়ে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় আয়োজিত ‘স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়নে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন তিনি। নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু একজন স্মার্ট লিডার ছিলেন। তাঁর ২৩ বছরের গণতান্ত্রিক ও স্বাধীনতা আন্দোলন এবং সাড়ে তিন বছরের রাষ্ট্র পরিচালনার কোথাও ভুল নেই। বঙ্গবন্ধু ছাড়া গত ১০৩ বছরে বাংলাদেশ সৃষ্টি করার মতো কোনো নেতা পাওয়া যায়নি; তিনি সব সময় বাংলার মানুষের জন্য কথা বলেছেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে বাংলাদেশ হতো না, বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে আমরা আজ মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারতাম না, জাতীয় সঙ্গীত ও জাতীয় পতাকা পেতাম না, বাংলায় কথা বলতে পারতাম না, বাংলাদেশের সীমানা পেতাম না। বঙ্গবন্ধু ’৭২ সালে যে সংবিধান দিয়েছিলেন; সেটি স্মার্ট সংবিধান। বঙ্গবন্ধু ২৩ বছরের গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধে রূপ দিয়েছেন। এক্ষেত্রে পৃথিবীতে দ্বিতীয় কোনো নেতার নাম বলতে পারব না। তিনি ছয় দফাকে এক দফায় অর্থাৎ স্বাধীনতা সংগ্রামে পরিণত করেছিলেন। অনেকে বঙ্গবন্ধুর সাড়ে তিন বছরের রাষ্ট্র পরিচালনাকে সমালোচনা করে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডকে জাস্টিফাই করার জন্য। তারা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেনি; দেশকে হত্যা করেছে।
নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ মোস্তফা কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সঞ্জয় কুমার বণিক, স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মোঃ আলমগীর, বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যাান কমডোর আরিফ আহমেদ মোস্তফা প্রমুখ।
প্রতিমন্ত্রী এর আগে বিআইডব্লিউটিএ কার্যালয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন, জন্মদিনের কেক কাটেন ও শিশুদের কেক খাইয়ে দেন।