জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান এ এস এম আলী কবির ১০ জানুয়ারি রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। হৃদরোগসহ বার্ধক্যজনিত নানা রোগে ভুগছিলেন তিনি।
তার মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন। এক শোকবার্তায় তিনি মরহুমের রুহের মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
রাজধানীর মিরপুরের শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে ১১ জানুয়ারি বীর মুক্তিযোদ্ধা ও জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান এ এস এম আলী কবিরকে সমাহিত করা হয়। এর আগে ধানমন্ডির ৭ নম্বর রোডের বায়তুল আমান জামে মসজিদে বাদ জোহর আলী কবিরের চতুর্থ জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় ঢাকা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে গার্ড অব অনার জানানো হয়। এর আগে সকাল সাড়ে নয়টায় আলী কবিরের প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয় ইস্কাটনের সচিব কোয়ার্টারে, দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয় সকাল সাড়ে ১০টায় মওলানা ভাসানী হকি স্টেডিয়ামে, তৃতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয় বেলা সাড়ে ১১টায় সচিবালয়ে। সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত জানাজায় বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সচিব ছাড়াও নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, এমপি, মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) চেয়ারম্যান কমডোর গোলাম সাদেক ও বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) চেয়ারম্যান আহমদ শামীম আল রাজী উপস্থিত ছিলেন।
আলী কবির সরকারি চাকরি থেকে অবসরের আগে জনপ্রশাসন ও যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। নদী রক্ষা কমিশনে নিয়োগ পাওয়ার আগে তিনি এক দশকের বেশি সময় ধরে অ্যাথলেটিকস ফেডারেশনের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। ক্রীড়াঙ্গনে অবদানের জন্য ২০১৬ সালে তিনি জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার পান। আলী কবির স্ত্রী ও দুই কন্যা রেখে গেছেন।