বিআইডব্লিউটিএ নিয়মিত প্রকাশনা

বৃহস্পতিবার, জানুয়ারি ২৩, ২০২৫
14 C
Dhaka

বিআইডব্লিউটিএ নিয়মিত প্রকাশনা

পায়রা বন্দর নতুন সম্ভাবনার দ্বারপ্রান্তে উপনীত : নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী

নদীবাংলা ডেস্ক,

যে লক্ষ্য নিয়ে পায়রা বন্দর নির্মাণ করা হয়েছে, সে লক্ষ্যেই এর কার্যক্রম এগিয়ে চলছে বলে জানিয়েছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, এমপি। ঢাকায় হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে ১৯ জানুয়ারি পায়রা বন্দরের জন্য দুটি টাগবোট নির্মাণের লক্ষ্যে খুলনা শিপইয়ার্ড লিমিটেডের সাথে চুক্তিপত্র স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি বলেন, পায়রা বন্দরে কয়লাবাহী জাহাজের পাশাপাশি অন্যান্য পণ্যবাহী জাহাজও চলাচল করবে। পায়রা বন্দর ভবিষ্যতে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত হবে। প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার প্রত্যক্ষ পৃষ্ঠপোষকতার ফলে দেশের তৃতীয় সমুদ্রবন্দর পায়রা আজ নতুন সম্ভাবনার দ্বারপ্রান্তে উপনীত হয়েছে। পায়রা বন্দর এ অঞ্চলের আর্থসামাজিক অবস্থায় পরিবর্তন নিয়ে এসেছে। পায়রা বন্দর ঘিরে এরই মধ্যে দেশের দক্ষিণাঞ্চলে ব্যাপক উন্নয়ন সাধিত হচ্ছে। ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার ঘটছে। সেখানে জাহাজ নির্মাণ শিল্পপ্রতিষ্ঠান, শেখ হাসিনা ক্যান্টনমেন্ট, দুটি বিশ্ববিদ্যালয়, নৌঘাঁটি নির্মিত হচ্ছে। কুয়াকাটায় পর্যটনের হাব রয়েছে। পায়রায় বিদ্যুতের নতুন হাব হবে।

চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করেন পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান কমডোর আব্দুল্লাহ আল মামুন চৌধুরী এবং খুলনা শিপইয়ার্ড লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কমডোর এম শামসুল আজিজ।

খুলনা শিপইয়ার্ড লিমিটেড ১৮ মাসে টাগবোট দুটি নির্মাণ করবে। ৭০ টন বোলার্ড পুলবিশিষ্ট টাগবোট দুটি নির্মাণে ব্যয় হবে ১৩৫ কোটি টাকা। টাগবোট দুটির দৈর্ঘ্য ৩৭ দশমিক ৭০ মিটার, প্রস্থ ১১ মিটার, ড্রাফট ৫ মিটার এবং টনেজ ২৮০ টন। টাগবোট দুটির প্রতিটি এককভাবে একটি বাণিজ্যিক জাহাজকে ভেড়াতে সক্ষম হবে। এছাড়া সার্চ অ্যান্ড রেসকিউ, বাণিজ্যিক জাহাজকে অগ্নিনির্বাপণে সহায়তা করা, দুর্ঘটনাকবলিত জাহাজকে টেনে নিরাপদে নিয়ে আসা, উত্তাল সমুদ্রে পাইলট ট্রান্সফারে সহায়তা করাসহ নানাবিধ অত্যাবশ্যকীয় কাজে টাগবোটগুলো ব্যবহৃত হবে। এতে পায়রা বন্দরের সক্ষমতা আরও বৃদ্ধি পাবে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমাদের সমুদ্রসীমার পরিধি বেড়ে যাচ্ছে। বন্দরগুলোর সক্ষমতা বাড়ানো হচ্ছে। মোংলা বন্দরের আউটারবারে ড্রেজিং করা হয়েছে। ইনারবারে ড্রেজিং চলছে। সেখানে ৯ মিটারের অধিক ড্রাফটের জাহাজ আসতে পারবে। চট্টগ্রাম বন্দরে বে-টার্মিনাল নির্মাণের কাজ চলছে; সেখানে ২৪ ঘণ্টা জাহাজ আসা-যাওয়া করবে। মাতারবাড়ীতে গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণ বিশ্বের দৃষ্টি কেড়েছে। এক লাখ টন ওজনের জাহাজ মাতারবাড়ীতে ভিড়তে পারবে। এ বন্দর শুধু দেশে নয়; আঞ্চলিক ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here