নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সাথে ২০২১-২২ অর্থবছরের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ) স্বাক্ষর করেছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষসহ (বিআইডব্লিউটিএ) মন্ত্রণালয়ের অধীন ১১টি দপ্তর/সংস্থা। ২৭ জুন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সরাসরি ও অনলাইনে এপিএ স্বাক্ষরিত হয়। নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ্ উদ্দিন চৌধুরী মন্ত্রণালয়ের পক্ষে এবং দপ্তর/সংস্থা প্রধানগণ নিজ নিজ পক্ষে চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করেন।
ঢাকায় অবস্থিত বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) চেয়ারম্যান কমোডর গোলাম সাদেক, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্পোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) চেয়ারম্যান সৈয়দ এম তাজুল ইসলাম, নৌ-পরিবহন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কমোডর আবু জাফর মো. জালালউদ্দিন এবং বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের (বাস্থবক) চেয়ারম্যান মো. আলমগীর হোসেন সরাসরি চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। ঢাকার বাইরে অবস্থিত চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের (চবক) চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এম শাহজাহান, মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের (মোবক) চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ মুসা, পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের (পাবক) কমোডর হুমায়ুন কল্লোল, বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের (বিএসসি) ব্যবস্থাপনা পরিচালক কমোডর সাব্বির মাহ্মুদ, বাংলাদেশ মেরিন একাডেমির কমান্ড্যান্ট সাজিদ হোসেন, ন্যাশনাল মেরিটাইম ইনস্টিটিউটের (এনএমআই) অধ্যক্ষ ক্যাপ্টেন ফয়সাল এবং নাবিক ও প্রবাসী শ্রমিক কল্যাণ পরিদপ্তরের পরিচালক মো. জসিমউদ্দিন ভার্চুয়ালি এপিএতে স্বাক্ষর করেন।
নির্বাচনী ইশতেহার, ২০১৮; প্রেক্ষিত পরিকল্পনা ২০২১-৪১; অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা ২০২১-২০২৫; রূপকল্প-২০৪১; বাংলাদেশ ব-দ্বীপ পরিকল্পনা (ডেল্টা প্ল্যান)-২১০০; টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট (এসডিজি), ২০৩০; মুজিব বর্ষ উপলক্ষে জনহিতকর কার্যক্রম; মন্ত্রিসভায় গৃহীত সিদ্ধান্ত এবং প্রধানমন্ত্রী প্রদত্ত নির্দেশনা ও প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন; ব্যবসা সহায়ক পরিবেশ সৃষ্টি বা ইজ অব ডুয়িং বিজনেসের সূচকসমূহ (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে); চতুর্থ শিল্প বিপ্লব সংশ্লিষ্ট কার্যক্রম (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে) এবং সরকারি কর্মচারীদের সক্ষমতার উন্নয়ন-সংক্রান্ত কার্যক্রমের (সমসাময়িক বিষয় নিয়ে বিশেষ লার্নিং সেশন আয়োজন) ওপর ভিত্তি করে এপিএ প্রণয়ন করা হয়েছে। এপিএর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয় অর্থবছরের বাজেটের সাথে সামঞ্জস্য রেখে। বিগত বছরগুলোর মধ্যে ২০১৫-১৬ অর্থবছরে নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয় এপিএর ৮৫ দশমিক শূন্য ২, ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ৮২ দশমিক ১৫, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ৮০ দশমিক ৬৩, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ৮১ দশমিক ২১ ও ২০১৯-২০ অর্থবছরে ৭২ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ অর্জন করে নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়।
এপিএ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহ্মুদ চৌধুরী এমপি বলেন, নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের বাজেটের আকার ছোট হলেও দৃষ্টিভঙ্গি অনেক বড়। নৌ খাতের কর্মকাণ্ডে মানুষের আগ্রহ বেড়েছে। জনগণ আমাদের কর্মকাণ্ডে পুরোপুরি সন্তুষ্ট হতে না পারলেও অসন্তুষ্ট নয়। এ অর্জন সকলের কর্মকাণ্ডের ফল। এ অর্জন ধরে রাখতে হবে। আরো ভালো করতে হবে। সবাই আরো দায়িত্ববান হলে মন্ত্রণালয়ের পারফরম্যান্স ভালো জায়গায় নিয়ে যেতে পারব। দক্ষতা অর্জনে সকলে বদ্ধপরিকর থাকব। মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।
উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নত রাষ্ট্রে উন্নীত করতে একটি কার্যকর, দক্ষ ও গতিশীল প্রশাসনিক ব্যবস্থা গড়ে তোলার লক্ষ্যে স্বচ্ছতা ও দায়বদ্ধতা বৃদ্ধি, সম্পদের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিতকরণ এবং প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা উন্নয়নের জন্য সরকারি দপ্তর/সংস্থাগুলোর কর্মসম্পাদন ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি প্রবর্তনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। ২০১৪-১৫ অর্থবছরে ৪৮টি মন্ত্রণালয়/বিভাগের সাথে এপিএ স্বাক্ষরের মধ্য দিয়ে কর্মসম্পাদন ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি চালু হয়। ইতোমধ্যে ৫১টি মন্ত্রণালয়/বিভাগ, আওতাধীন দপ্তর/সংস্থা এবং মাঠ পর্যায়ের বিভাগীয়/আঞ্চলিক, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের কার্যালয়গুলোর সাথে এপিএ স্বাক্ষরিত হয়েছে।
