নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের অনেক অগ্রগতি হয়েছে জানিয়ে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহ্মুদ চৌধুরী, এমপি বলেছেন, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় দেশের উন্নয়নের অন্যতম চালিকা শক্তি। এটা শুধু মুখে নয়; হৃদয়ে ধারণ করতে হবে। উন্নয়নের অংশীদার হয়ে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় অনেক উচ্চতায় চলে গেছে; এ সম্মানকে ধরে রাখতে হবে।
২৬ জানুয়ারি মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন সকল সংস্থার ২০২২-২৩ অর্থবছরের এডিপিভূক্ত জিওবি ও সংস্থার নিজস্ব অর্থায়নে বাস্তবায়নাধীন উন্নয়ন প্রকল্পের অগ্রগতি সংক্রান্ত পর্যালোচনা বৈঠকে সভাপতির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন তিনি।
বৈঠকে ব্র্রহ্মপুত্র নদ খনন, মাতারবাড়ী সমুদ্রবন্দর নির্মাণ, পায়রা বন্দরের ফার্স্ট টার্মিনাল নির্মাণ ও আন্ধারমানিক নদীর ওপর সেতু নির্মাণের বিষয়ে গুরুত্বারোপ করা হয়। শিগগিরই ঢাকা-লক্ষীপুর নৌপথে লঞ্চ সার্ভিস চালু হবে বলে বৈঠকে জানানো হয়। এ ছাড়া মার্চে ন্যাশনাল মেরিটাইম ইনস্টিটিউট, মাদারীপুর শাখার উদ্বোধন করার কথাও উল্লেখ করা হয় বৈঠকে। নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোস্তফা কামালসহ মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন সংস্থার প্রধানগণ সরাসরি ও জুমের মাধ্যমে বৈঠকে অংশ নেন।
নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় ২০২২-২৩ অর্থবছরে ৩৫টি প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। এর মধ্যে ৩১টি এডিপিভূক্ত, তিনটি নিজস্ব অর্থায়নে এবং একটি স্কিম প্রকল্প। এ জন্য বরাদ্দ পেয়েছে ৭ হাজার ৭৫ কোটি ৫ লাখ টাকা। এডিপিভূক্ত প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ ৬ হাজার ৩০২ কোটি ৩৮ লাখ টাকা। নিজস্ব অর্থায়নে বাস্তবায়নের জন্য বরাদ্দ রয়েছে ৭৭২ কোটি ৬৭ লাখ টাকা। এডিপিভুক্ত ৩১টি প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) ১৩টি, বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের পাঁচটি, ন্যাশনাল মেরিটাইম ইনস্টিটিউটের একটি, জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের একটি, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের একটি, পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের দুটি, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্পোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) একটি, নৌপরিবহন অধিদফতরের একটি, বাংলাদেশ মেরিন একাডেমির একটি এবং মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের পাঁচটি প্রকল্প। নিজস্ব অর্থায়নে বাস্তবায়নাধীন তিনটি প্রকল্পই চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের। একটি স্কিম প্রকল্প পায়রা বন্দরের। সেটি হলো পায়রা বন্দরের রাবনাবাদ চ্যানেলের ক্যাপিটাল ও মেইনটেন্স ড্রেজিং প্রকল্প।