নৌ-প্রটোকলের আওতায় প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ থেকে পরীক্ষামূলকভাবে সিমেন্ট গেল ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে। এর মধ্য দিয়ে অভ্যন্তরীণ নৌপথে ট্রানজিট ও বাণিজ্য প্রটোকলের (পিআইডব্লিউটিটি) আওতায় ত্রিপুরার সাথে যুক্ত হলো বাংলাদেশ।
নৌ-প্রটোকলে যুক্ত হওয়া কুমিল্লার দাউদকান্দি ও ত্রিপুরার সিপাহিজলা জেলার সোনামুড়া রুটে পরীক্ষামূলকভাবে গত ৫ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ থেকে ৫০ টন সিমেন্টবাহী একটি নৌযান সোনামুড়া নৌবন্দরে পৌঁছে। ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব সেখানে নৌযানটিকে স্বাগত জানান। বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার রিভা গাঙ্গুলি দাস এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
কুমিল্লার বিবিরবাজার গোমতীর অংশে একই দিন দাউদকান্দি-সোনামুড়া পরীক্ষামূলক নৌ চলাচল উদ্বোধন করেন বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান কমডোর গোলাম সাদেক। উদ্বোধনের পরই ৫০ টন সিমেন্টবাহী প্রিমিয়ার সিমেন্টের একটি ট্রলার ত্রিপুরার সোনামুড়া বন্দরের উদ্দেশে ছেড়ে যায়। গোমতী নদীর ৯৩ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে ট্রলারটি ত্রিপুরায় পৌঁছে।
ভারতের সোনামুড়ায় আয়োজিত অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যাওয়ার পথে বিবিরবাজার স্থলবন্দরে রিভা গাঙ্গুলি দাস বলেন, এ বছরের মে মাসে ঢাকায় দুই দেশের মধ্যে নতুন দুটি নৌপথে চলাচল বিষয়ে চুক্তি হয়। এর একটি রাজশাহী থেকে ভারতের ধুলিয়ান এবং অন্যটি কুমিল্লার দাউদকান্দি থেকে ত্রিপুরার সোনামুড়া। এখন নৌপথের নাব্যতা সংকটসহ আরো যেসব সমস্যা সামনে আসবে পর্যায়ক্রমে সেগুলো সমাধান করা হবে।
নৌপথটি চালুর ফলে দুই দেশের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরো বাড়বে জানিয়ে রিভা গাঙ্গুলি দাস বলেন, এর মধ্য দিয়ে আমদানি-রপ্তানির ক্ষেত্রে নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে। নৌপথ একদিকে অর্থনৈতিকভাবে লাভজনক, অন্যদিকে পরিবেশবান্ধব।
ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব টুইটারে এক প্রতিক্রিয়ায় বলেন, ‘ঐতিহাসিক মুহূর্ত! সোনামুড়া নদীবন্দরে বাংলাদেশ থেকে আসা প্রথম পরীক্ষামূলক নৌযানটিকে স্বাগত জানাতে পেরে আমি অত্যন্ত আনন্দিত। ভারত-বাংলাদেশ বন্ধুত্বের এক নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হলো আজ।’ এই উদ্যোগের জন্য ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান।