নেত্রকোনার পূর্বধলা উপজেলার শ্যামগঞ্জ বাজারের পাশ দিয়ে প্রবাহিত সোয়াইসহ তিনটি নদী ও ১২টি খাল পুনঃখননের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এলাকার নদীতে পানিপ্রবাহ স্বাভাবিক রাখা এবং জমিতে সেচ সুবিধার জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ড এ কার্যক্রম হাতে নিয়েছে। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ২০৫ কোটি টাকা।
সোয়াই নদী ছাড়াও আরও যে দুটি পুনঃখনন করা হচ্ছে সেগুলো হলো কালিহর ও লাউয়ারী নদী। এই তিনটি নদীর সম্মিলিত দৈর্ঘ্য ৮০ কিলোমিটার। তিনটি নদীর কোনোটিতেই এখন পানি নেই।
নেত্রকোনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী, শ্যামগঞ্জ বাজারের পাশ দিয়ে প্রবাহিত সোয়াই নদীর দৈর্ঘ্য ৪৬ কিলোমিটার। ময়মনসিংহ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিপরীত দিকে ব্রহ্মপুত্র নদ থেকে উৎপন্ন সোয়াই নদীটি পূর্বধলার শ্যামগঞ্জ বাজারের পাশ দিয়ে বয়ে গেছে।
প্রকল্পের আওতায় তিনটি নদীসহ ১২টি খালের মোট ১২ লাখ ৫৭ হাজার ৪০০ ঘনফুট মাটি খনন করা হবে। এজন্য প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয়েছে ২০৫ কোটি টাকা।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, নদীগুলোর পুনঃখনন সম্পন্ন হলে এলাকার প্রাকৃতিক পরিবেশের উন্নতি হবে। একইভাবে কৃষকরা সেচ সুবিধাও পাবেন।
সময়ের পরিক্রমায় সোয়াই নদীতে ধীরে ধীরে পলি পড়ে ভরাট হয়ে যায়। এখন নদী বলতে এর কোনো অস্তিত্ব নেই। যে যেভাবে পারে নদী দখল করে স্থাপনা নির্মাণ করেছে। বাকি দুটি নদীর অবস্থাও একই রকম। এলাকাবাসীর দাবির পরিপ্রেক্ষিতে নদীর পরিবেশ পুনরুদ্ধারে পানি উন্নয়ন বোর্ড একসময় জরিপ চালায় এবং এই এলাকার মৃতপ্রায় তিনটি নদী পুনঃখননের জন্য প্রকল্প তৈরি করে। এছাড়া ছোট-বড় ১২টি খালও পুনঃখননের উদ্যোগ নেওয়া হয়।