নদী দখল বা দূষণকারীদের নির্বাচনে এবং ব্যাংক ঋণ পাওয়ার অযোগ্য ঘোষণার যে নির্দেশনা দিয়েছিলেন হাইকোর্ট, তা ‘পরামর্শ’ বা ‘মতামত’ হিসেবে গ্রহণ করে রায় দিয়েছেন আপিল বিভাগ। আপিল বিভাগের রায়ে বলা হয়েছে, আইন প্রণয়ন করার সম্পূর্ণ এখতিয়ার জাতীয় সংসদের। আদালত সংসদকে আইন প্রণয়নের নির্দেশ দিতে পারেন না। তবে কোনো আইন জনস্বার্থবিরোধী বা সংবিধান পরিপন্থি হলে তা বাতিল করতে পারেন এবং কোনো আইন সংশোধনের জন্য আদালত কেবল মতামত দিতে পারেন।
সর্বোচ্চ আদালতের এ রায়ের ফলে নদী দখল বা দূষণকারীর নির্বাচনে অংশগ্রহণ বা ঋণ পাওয়ার ক্ষেত্রে অযোগ্য ঘোষণার যে বাধ্যবাধকতা ছিল, তা আর থাকছে না। চার বছর আগে ঢাকার তুরাগ নদীর তীরে অবৈধ দখল উচ্ছেদ ও মাটি ভরাট বন্ধের নির্দেশনা চেয়ে মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ (এইচআরপিবি) পক্ষে জনস্বার্থে একটি রিট আবেদন করা হয়। দীর্ঘ শুনানির পর গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে ১৭ দফা নির্দেশনাসংবলিত রায় দেন হাইকোর্ট। গত বছরের ১ জুলাই হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ হলে এর বিরুদ্ধে আপিল করে নিশাত জুট মিলস কর্তৃপক্ষ। সে আপিল নিষ্পত্তি করে চলতি বছরের ১৭ ফেব্রæয়ারি রায় দেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন চার বিচারপতির আপিল বেঞ্চ। আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ রায়টি সম্প্রতি প্রকাশ করা হয়েছে।