নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী গত ১৩ জুন ‘বুড়িগঙ্গা, তুরাগ, শীতলক্ষ্যা ও বালু নদীর তীরভূমিতে পিলার স্থাপন, তীররক্ষা, ওয়াকওয়ে ও জেটিসহ আনুষঙ্গিক অবকাঠামো নির্মাণ (২য় পর্যায়); শীর্ষক প্রকল্প’ এর অধীন ঢাকা নদী বন্দরের নারায়ণগঞ্জের পাগলা ও মুন্সিখোলা এলাকায় আরসিসি জেটি নির্মাণ কাজ এবং বুড়িগঙ্গা নদীর রামচন্দ্রপুর থেকে বসিলা পর্যন্ত নদীর তীরভূমিতে ওয়াকওয়ে নির্মাণ কাজের অগ্রগতি পরিদর্শন করেন।
এ সময় তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কঠোর নির্দেশনা এবং মাননীয় নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রীর উক্ত নির্দেশনা বাস্তবায়নে সর্বোচ্চ আন্তরিকতা ও চেষ্টার ফলে প্রকল্পটি সফলতার মুখ দেখতে শুরু করেছে। এ কাজে সহযোগিতার জন্য বিআইডব্লিউটিএ’র সব কর্মকর্তা-কর্মচারী, বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান এবং প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার কর্মীসহ সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি।
সচিব বলেন, নদীর প্রতি ইঞ্চি জায়গা সরকার উদ্ধার করে ছাড়বে। এ ব্যাপারে পরিকল্পিতভাবে কাজ চলছে। কেউ নদীর জায়গা দখল করবেন না এবং নদী দূষণ করবেন না। নদীকে ভালবাসুন, দেশকে ভালবাসুন। নদী বাঁচলে বাঁচবে দেশ, গড়ে উঠবে সোনার বাংলাদেশ।
এছাড়াও তিনি ঢাকা ও টঙ্গী নদী বন্দরের সীমানাধীন এলাকায় প্রকল্পটির অধীনে নদীর তীরভূমিতে সীমানা পিলার নির্মাণ কাজের অগ্রগতি পরিদর্শন করেন। তিনি তুরাগ ও বালু নদীর মিলনস্থল তেরমুখ এলাকায় নদীর তীরভূমিতে বৃক্ষ রোপণ করেন। বিআইডব্লিউটিএ চেয়ারম্যান কমডোর গোলাম সাদেক, সদস্য অর্থ (প্রকল্প পরিচালক) মো. নুরুল আলম, নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক মো: জসিম উদ্দিনসহ বিআইডব্লিউটিএর সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।