উদ্বোধন করা নবনির্মিত দুটি মিডিয়াম ফেরি হলো ‘কুঞ্জলতা’ ও ‘কদম’। ফলে মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া ও মাদারীপুরের বাংলাবাজার রুটে ফেরির সংখ্যা দাঁড়াল ১৭টি। এগুলোর মধ্যে চারটি রো রো, ছয়টি ডাম্ব, ছয়টি মিডিয়াম ও একটি ছোট ফেরি।
মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়াঘাটে ১৫ জুলাই নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এমপি ফেরি দুটি উদ্বোধন করেন। নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ্ উদ্দিন চৌধুরী, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) চেয়ারম্যান সৈয়দ মো. তাজুল ইসলাম, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) চেয়ারম্যান কমডোর গোলাম সাদেক, জেলা প্রশাসক নাহিদ রসুল ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুমন দেব বর্মণ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
ফেরি দুটি উদ্বোধনকালে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী বলেন, গত ১২ বছরে নৌপথের অর্জন অবস্মরণীয়। এ অর্জন সম্ভব হয়েছে বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে। বঙ্গবন্ধুর আজন্ম স্বপ্ন সোনার বাংলা বিনির্মাণে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সকলে ঐক্যবদ্ধ। আমরা বাংলাদেশকে আলোর পথে নিয়ে যেতে চাই। অনেক পথ পাড়ি দিয়েছি। এ আলোর পথের দিশারি হলেন দেশরত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী পদ্মা সেতুর স্বপ্নদ্রষ্টা।
ফেরি দুটি সংগ্রহ করেছে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি)। প্রতিটি ফেরি নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ১০ কোটি ৭১ লাখ ২১ হাজার ৬০০ টাকা। এগুলোর দৈর্ঘ্য ৪২ দশমিক ৭ মিটার, প্রস্থ ১২ দশমিক ২ মিটার, ড্রাফট ১ দশমিক ৪ মিটার ও সার্ভিস স্পিড ঘণ্টায় ১০ নটিক্যাল মাইল। প্রতিটি ফেরি ২৫ টন ওজনের ১২টি ট্রাক ও ১০০ জন যাত্রী বহন করতে সক্ষম।
নতুন দুটিসহ বিআইডব্লিউটিসির ১৪টি রো রো, ২১টি মিডিয়াম, ছয়টি ডাম্ব, ১১টি ইউটিলিটি ও একটি ছোট ফেরিসহ মোট ৫৩টি ফেরি রয়েছে। এছাড়া ১৯টি পন্টুন ও ১০টি টাগ রয়েছে। ফেরিগুলো মূলত পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া, আরিচা-কাজিরহাট-আরিচা, শিমুলিয়া-বাংলাবাজার-শিমুলিয়া, চাঁদপুর-শরীয়তপুর-চাঁদপুর, ভোলা-লক্ষ্মীপুর-ভোলা, লাহারহাট-ভেদুরিয়া-লাহারহাট রুটে চলাচল করে। পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া রুটে ১০টি রো রো, ছয়টি ইউটিলিটি ও দুটি মিডিয়াম ফেরি চলাচল করে। চাঁদপুর-শরীয়তপুর রুটে ছয়টি মিডিয়াম, ভোলা-লক্ষীপুর রুটে চারটি মিডিয়াম, আরিচা-কাজিরহাট রুটে তিনটি মিডিয়াম এবং লাহারহাট-ভেদুরিয়া রুটে পাঁচটি ইউটিলিটি ফেরি চলাচল করে।