বিআইডব্লিউটিএ নিয়মিত প্রকাশনা

মঙ্গলবার, এপ্রিল ১৫, ২০২৫
33 C
Dhaka

বিআইডব্লিউটিএ নিয়মিত প্রকাশনা

দেড় দশকে ২৬ হাজারের বেশি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেছে বিআইডব্লিউটিএ

নদীবাংলা ডেস্ক,

২০০৯ সালে বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই দেশের নদ-নদী অবৈধ দখলমুক্ত করার ব্যাপক উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এরই অংশ হিসেবে ২০১০ থেকে ২০২৪ সালের এ পর্যন্ত সারাদেশের নদীর জমি দখল করে গড়ে তোলা ছোট বড় ২৬ হাজার ১৮১টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)। অবৈধ এসব স্থাপনা উচ্ছেদের মাধ্যমে উদ্ধার করা হয়েছে নদীর এক হাজার ১৬০ দশমিক ৬২ একর তীরভূমি।

জাতীয় সংসদে গত মঙ্গলবার (২৫ জুন, ২০২৪) টেবিলে উপস্থাপিত স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য খসরু চৌধুরীর এক লিখিত প্রশ্নের উত্তরে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, এমপি এই তথ্য জানান।

২০০৯ সালে বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পরপরই নদী দখলমুক্ত করার কার্যক্রম জোরদার করা হয়ে। স্থানীয় প্রশাসনের সহায়তায় নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় এবং বিআইডবি¬উটিএ বুড়িগঙ্গা, তুরাগ, শীতলক্ষ্যা, ধলেশ^রী ও বালু নদীর তীরভূমিতে গড়ে তোলা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান শুরু করে। উচ্ছেদ কার্যক্রমের মাধ্যমে প্রায় শতভাগ অবৈধ স্থাপনা অপসারণ করা হয়েছে এবং এখনও বিআইডবি¬উটিএ নিয়মিতভাবে এই কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে।

এদিকে ঢাকার চারপাশের নদীগুলোর দুইপাশ অবৈধ দখলমুক্ত রাখার লক্ষ্যে তীরভূমিতে ওয়াকওয়ে নির্মাণ, তীরবর্তী জায়গায় জনগণের জন্য বসার বেঞ্চ, পরিবেশবান্ধব ইকোপার্ক, বৃক্ষরোপণ ইত্যাদি কাজ হাতে নেওয়া হয়েছে। নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রীর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ‘বুড়িগঙ্গা, তুরাগ, শীতলক্ষ্যা ও বালু নদীর তীরভূমিতে পিলার স্থাপন, তীররক্ষা, ওয়াকওয়ে ও জেটিসহ আনুষংগিক অবকাঠামো নির্মাণ’ শীর্ষক প্রকল্পের অধীনে ৭ হাজার ৫৬২টি সীমানা পিলার স্থাপন, ৪৬ হাজার বৃক্ষরোপণ, ৫২ কিলোমিটার ওয়াকওয়ে, ১৪টি জেটি, কি-ওয়াল এবং ৩টি ইকোপার্ক নির্মাণ করা হয়েছে। প্রকল্পটির বাস্তব অগ্রগতি ৮০ শতাংশ।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here