দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে নদী পুনরুদ্ধার ও নাব্যতা বৃদ্ধির উদ্যোগ

0
22

দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের নদীগুলোর নাব্যতা হ্রাস পাওয়ায় অসময়ে বন্যা ও জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হচ্ছে। এর ফলে ব্যাহত হচ্ছে নৌযোগাযোগ ব্যবস্থা। তাছাড়াও নদীতে পানিপ্রবাহ হ্রাস পাওয়ায় এই অঞ্চলে ব্যাপকভাবে লবণাক্ততা বৃদ্ধি পেয়েছে। এ থেকে উত্তরণে অর্থাৎ এই অঞ্চলের নদীগুলো পুনরুদ্ধার ও নাব্যতা বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এর অংশ হিসেবে ‘খুলনা বিভাগের নদীসমূহের নাব্যতা বৃদ্ধি, জলাবদ্ধতা হ্রাস, জলাভূমি বাস্তু পুনরুদ্ধার, সেচ ও ল্যান্ডিং সুবিধাদি বৃদ্ধি করে নদী ব্যবস্থাপনার সম্ভাব্যতা যাচাই’ শীর্ষক সমীক্ষা চালানো হয়েছে। সমীক্ষাটির চূড়ান্ত খসড়া প্রতিবেদন নিয়ে ২০২০ সালের ৯ সেপ্টেম্বর খুলনা জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে একটি কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।

খুলনার বিভাগীয় কমিশনার ড. মু. আনোয়ার হোসেন হাওলাদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিআইডব্লিউটিএ’র অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী প্রকল্পটি অনুমোদিত হলে তা বাস্তবায়নে সংস্থাটির কর্মপন্থা কী হবে সে সম্পর্কে আলোকপাত করেন। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান কমডোর গোলাম সাদেক বলেন, প্রকল্পটির উদ্দেশ্য সুদূরপ্রসারী এবং এটি বাস্তবায়ন হলে এর সুফলও হবে দীর্ঘমেয়াদি। প্রকল্পটি অনুমোদিত হলে এবং সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করা গেলে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের জীবনমানের উন্নয়ন ঘটবে। অর্থনৈতিক উন্নয়নের মাধ্যমে দেশের অগ্রগতি সাধিত হবে।

প্রধান অতিথি হিসেবে খুলনার মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক খুলনা বিভাগের সামাজিক ও অর্থনৈতিক গুরুত্বের ওপর আলোকপাত করেন। অতি স্বল্প সময়ের মধ্যে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করে খুলনার প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের সেবা বৃদ্ধিতে সবার সহযোগিতা কামনা করে তিনি বলেন, নদী খনন ও মাটি ভরাটের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত জনগণের জন্য ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করা হবে। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের নদীগুলো পুনরুদ্ধার হবে ও নাব্যতা বৃদ্ধি পাবে। নৌপথের নিরাপদ ও সুষ্ঠু ব্যবহার নিশ্চিত হবে। বিদ্যমান ল্যান্ডিং স্টেশন সুবিধাও বৃদ্ধি পাবে। প্রকল্পটির আওতায় মোট ২ হাজার ৩০০ কিলোমিটার নৌপথ উন্নয়ন করা হবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here