শুষ্ক মৌসুমেও যাতে তিস্তা নদীর পানি প্রবাহ স্বাভাবিক থাকে সেজন্য একটি প্রকল্পের অধীনে বাংলাদেশকে ১০০ কোটি ডলার ঋণ দিতে চায় চীন। বৃহত্তর রংপুর অঞ্চলে ‘তিস্তা রিভার কম্প্রিহেন্সিভ ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড রেস্টোরেশন’ শীর্ষক প্রকল্পের জন্য ২০২০ সালের মে মাসে চীনের কাছে ৮৫ কোটি ৩০ লাখ ডলার চায় অর্থ মন্ত্রণালয়।
যে ৯টি প্রকল্পের জন্য চীনের কাছে বাংলাদেশ ৬০০ কোটি ডলার ঋণ সহায়তা চেয়েছে, ৯৮ কোটি ৩০ লাখ ডলার প্রাক্কলিত ব্যয়ের তিস্তা প্রকল্প তার একটি। তিস্তা নদী কোথাও এক কিলোমিটার প্রশস্ত, কোথাও আবার পাঁচ কিলোমিটার। প্রকল্পটির মাধ্যমে সব জায়গায় তিস্তার প্রশস্ততা এক কিলোমিটারে নামিয়ে আনা হবে। গভীরতা হবে কমপক্ষে ১০ মিটার, যাতে অধিক পরিমাণে পানি ধরে রাখা যায়।
বর্ষা মৌসুমে তিস্তার পানি উপচে প্রায়ই বন্যার সৃষ্টি হয়। আবার শুষ্ক মৌসুমে নভেম্বর থেকে ফেব্রæয়ারি পর্যন্ত তিস্তা প্রায় শুকিয়ে যায়। প্রকল্পটি সম্পন্ন হলে এ সমস্যা আর থাকবে না বলে আশা করা হচ্ছে। তবে বাংলাদেশি নাকি চীনের কোনো প্রতিষ্ঠান প্রকল্পটির কাজ করবে, প্রকল্পের মেয়াদই বা কি হবে সে সম্পর্কে সুনির্দিষ্টভাবে এখন পর্যন্ত কিছু জানানো হয়নি।
গত দশ বছরে তিস্তার পানির প্রবাহ লক্ষণীয়ভাবে হ্রাস পেয়েছে। এর কারণ দীর্ঘ আলোচনার পরও ভারত তিস্তার পানিবণ্টন চুক্তি বাস্তবায়ন না করা এবং ভারতীয় অংশে অর্থাৎ উজানে বাঁধ নির্মাণ।