ঢাকা-বরিশাল নৌরুট- ডিসেম্বরের মধ্যেই ১৪ লাখ ঘনফুট পলি অপসারণ

0
20

শুষ্ক মৌসুমেও যাতে নৌযান চলাচল করতে পারে, সে লক্ষ্যে ঢাকা-বরিশাল নৌরুটের ১২ কিলোমিটার খনন করে ১৪ লাখ ঘনফুট পলি আগামী ডিসেম্বরের মধ্যেই অপসারণ করবে বিআইডব্লিউটিএ। নৌরুটটির প্রায় ৩০টি পয়েন্টে এই খননকাজ চলবে। ১৩ অক্টোবর খননকাজ শুরুও হয়েছে।

গত ৮ অক্টোবর বরিশাল নদীবন্দরের সম্মেলনকক্ষে মেইন্টেন্যান্স ড্রেজিং  বিষয়ক এক মতবিনিময় সভায় বিআইডব্লিউটিএ’র ড্রেজিং বিভাগের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মিজানুর রহমান ভূঁইয়া বলেন, বরিশাল বিভাগে মোট ১২ কিলোমিটারের মতো নৌপথ খনন করে সেখান থেকে ১৪ লাখ ঘনমিটার বালু অপসারণ করা হবে। এ কাজে ব্যয় হবে ১৪ কোটি টাকা।

বিআইডব্লিউটিএ’র ৮ থেকে ১০টি ড্রেজার এই ড্রেজিং করবে। প্রয়োজনে বেসরকারি ড্রেজারও কাজে লাগানো হবে। আগামী ডিসেম্বরের মধ্যেই খননকাজ শেষ করার লক্ষ্য রয়েছে আমাদের।

ঢাকা-বরিশাল রুটের যেসব পয়েন্টে খননকাজ করা হবে তার মধ্যে বরিশাল নদীবন্দর, পটুয়াখালী নদীবন্দর, ভোলা নদীবন্দর, বরগুনা নদীবন্দর, লাহারহাট-ভেদুরিয়া নৌপথ, পাতারহাট পয়েন্ট, কারখানা নদীর লোহালিয়া পয়েন্ট, মজুচৌধুরী ফেরিঘাটসংলগ্ন মতিহাট পয়েন্ট উল্লেখযোগ্য।

মিজানুর রহমান ভূঁইয়া বলেন, প্রতি বছর বর্ষাকালে উজান থেকে ২৪০ কোটি টন পলি ভাটিতে আসে। নদীভাঙনের ফলেও বিপুল পরিমাণ পলির সৃষ্টি হয়, যার ৭০ শতাংশ বঙ্গোপসাগরে গিয়ে পড়ে এবং বাকি ৩০ শতাংশ নদীর তলদেশে জমে ডুবোচরের সৃষ্টি হয়। এতে নৌ চলাচল ব্যাহত হয়। তাই আসন্ন শুষ্ক মৌসুমেও যাতে এই রুটে নৌ চলাচল স্বাভাবিক থাকে সে লক্ষ্যে বরিশাল বিভাগের বিভিন্ন নদী খনন করা হচ্ছে। বরিশাল নদীবন্দর কর্মকর্তা আজমল হুদা মিঠু সরকারসহ অন্যরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here