পশ্চিমবঙ্গ ও আসামের বিধানসভা নির্বাচনের পর ভারত সরকার তিস্তার পানিবণ্টন চুক্তিসহ বেশকিছু বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে বলে জানিয়েছেন পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব কবির বিন আনোয়ার। দুই দেশের পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব পর্যায়ে বৈঠকের পর ১৭ মার্চ হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।
যৌথ নদী কমিশনের (জেআরসি) অধীনে দুই দেশের পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব পর্যায়ের বৈঠক ১৬ মার্চ ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে বাংলাদেশের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব কবির বিন আনোয়ার। ভারতের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন সে দেশের পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব পঙ্কজ কুমার।
বৈঠক থেকে ফিরে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সংবাদ সম্মেলনে কবির বিন আনোয়ার বলেন, সেচের জন্য রহিমপুর পাম্প হাউসে কুশিয়ারার পানি আনা নিয়েও অগ্রগতি হয়েছে বৈঠকে। মহানন্দা নদীর পানিপ্রবাহ কমে আসার পরিপ্রেক্ষিতে একটি যৌথ সমীক্ষা পরিচালনার বিষয়েও বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। সব মিলিয়ে বলা যায়, খুবই ফলপ্রসূ ও ইতিবাচক আলোচনা হয়েছে। এর আগে বাংলাদেশ-ভারত সচিব পর্যায়ের বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়েছিল ২০১৯ সালের আগস্টে। গত বছর বৈঠকের জন্য ভারতের পানিসম্পদ সচিবকে আমন্ত্রণ জানানো হলেও কোভিড-১৯ মহামারির কারণে তা পিছিয়ে যায়। অবশেষে ১৬ মার্চ কাঙ্ক্ষিত বৈঠকটি নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিত হলো।
নদী রক্ষার বিষয়ে দুই দেশই একমত হয়েছে জানিয়ে কবির বিন আনোয়ার বলেন, নদীর স্বাভাবিক প্রবাহ আগে নিশ্চিত করতে হবে। এরপর আসবে পানিবণ্টনের বিষয়টি। দুই দেশের মধ্যে বোঝাপাড়া যাতে ভালো থাকে সেজন্য সমীক্ষা, পরিদর্শন, উপাত্ত সংগ্রহ সবই করতে হবে যৌথভাবে। ছয়টি অভিন্ন নদীর তথ্য বিনিময়ের প্রক্রিয়াটি চূড়ান্ত পর্যায়ে আছে বলেও জানান পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব। তিনি বলেন, এ নিয়ে শিগগিরই একটি ফ্রেমওয়ার্ক চুক্তি হবে। ৫৪টি অভিন্ন নদী নিয়েই পর্যায়ক্রমে আলোচনা হবে।