লন্ডনের টেমস নদীতে প্লাস্টিক দূষণ মাত্রা ছাড়িয়েছে। বিজ্ঞানীদের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, টেমস নদীর কোথাও কোথাও প্রতি সেকেন্ডে ৯৪,০০০ মাইক্রোপ্লাস্টিক প্রবাহিত হচ্ছে। মাইক্রোপ্লাস্টকের এই পরিমাণ ইউরোপের অন্য প্রধান নদী যেমন দানিয়ুব ও রাইনের চেয়ে ঢের বেশি। টেমস নদীর কাঁকড়ার শরীরেও অতিক্ষুদ্র প্লাস্টিক কণা পাওয়া গেছে।
প্লাস্টিকের লেবেলিং ও অপসারণের ক্ষেত্রে তাই কঠোর নিয়ন্ত্রণ আরোপের দাবি জানিয়েছেন রয়্যাল ইউনিভার্সিটি অব হলোওয়ের গবেষকরা। করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যে অসতর্কভাবে প্লাস্টিক গ্লাভস ও মাস্ক যত্রতত্র ফেলে দেওয়ার কারণে পরিস্থিতি আরও মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে বলেও সতর্ক করেছেন তারা।
রয়্যাল হলোওয়ের অধ্যাপক ডেভ মরিটের ভাষ্য, চলমান করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যে একবার ব্যবহার্য প্লাস্টিক যেমন হ্যান্ড গ্লাভস ও মাস্কের ব্যবহার বৃদ্ধি ও তা সঠিকভাবে অপসারণ না করা সমস্যাকে বাড়িয়ে তুলবে। তবে অন্য দূষণকারী উপাদান যেমন ট্রেস মেটালের কথা যদি ধরেন তাহলে টেমসের অবস্থা ভালোই বলতে হবে।
কী ধরনের প্লাস্টিক পাওয়া গেছে টেমসে? গবেষকরা বলছেন, প্রসাধন সামগ্রী ও প্লাস্টিক খণ্ডের গ্লিটার ও মাইক্রোবিড থেকে শুরু করে প্লাস্টিকের বড় খণ্ডও পাওয়া গেছে এখানে। তবে মাইক্রোপ্লাস্টিকের বড় উৎস সম্ভবত খাদ্যপণ্যের মোড়ক।
রয়্যাল হলোওয়ের গবেষক ক্যাথেরিন রাউলির মত হচ্ছে, ঠিক কী কারণে টেমসে প্লাস্টিকের এত উচ্চ ঘনত্ব সেটা পরিস্কার নয়। তবে নাগরিকদের বলব, প্লাস্টিক ব্যবহার ও ফেলে দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে আরেকবার ভাবুন। মানুষ যা ভাবে তার চেয়েও বেশি কিছু করে দেখানোর সামর্থ্য তার রয়েছে।