বিআইডব্লিউটিএ নিয়মিত প্রকাশনা

বৃহস্পতিবার, জানুয়ারি ২৩, ২০২৫
16 C
Dhaka

বিআইডব্লিউটিএ নিয়মিত প্রকাশনা

ব্রহ্মপুত্রে ১৫০ ট্রাক ধারণক্ষমতার দীর্ঘতম জাহাজ

ব্রহ্মপুত্র নদে চলল ১৫০টি ট্রাক অথবা তিনটি ট্রেন ধারণক্ষমতাসম্পন্ন এ যাবৎকালের দীর্ঘতম জাহাজ এমভি রাম প্রসাদ বিসমিল। ৯০ মিটার দীর্ঘ ও ২৬ মিটার প্রশস্ত জাহাজটি ১৭ মার্চ পরীক্ষামূলক পণ্য সরবরাহ সম্পন্ন করেছে। কলকাতার শ্যামা প্রসাদ মুখার্জি বন্দরের হলদিয়া ডক থেকে ১ হাজার ৮০০ টন ইস্পাতের রড নিয়ে জাহাজটি আসামের গুয়াহাটির পান্ডু বন্দরে পৌঁছায়।

বন্দর, জাহাজ চলাচল ও নৌপথ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ইন্দো-বাংলাদেশ প্রটোকল রুট (আইবিপিআর) হয়ে কলকাতা থেকে গুয়াহাটি পর্যন্ত বার্জ পরিচালনার সুযোগ তৈরি হওয়ার মধ্যে পরীক্ষামূলক এ পণ্য পরিবহনের গুরুত্ব নিহিত। আইবিপিআর গঙ্গা (জাতীয় নৌপথ-১) ও ব্রহ্মপুত্র (জাতীয় নৌপথ-২) নদীকে সংযুক্ত করেছে।

ইনল্যান্ড ওয়াটারওয়েজ অথরিটিজ অব ইন্ডিয়ার (আইডব্লিউএআই) পরিচালক এ. সেলভাকুমার গুয়াহাটিতে এর গুরুত্ব ব্যাখ্যা করতে গিয়ে বলেন, এই আকৃতির কোনো নৌযানের জাতীয় নৌপথ-১ থেকে জাতীয় নৌপথ-২ এ পৌঁছানোর ঘটনা এটাই প্রথম।

কেন্দ্রীয় বন্দর, জাহাজ চলাচল ও নৌপথ মন্ত্রী সর্বানন্দ সনোয়াল চলতি বছরের ১৬ ফেব্রুয়ারি জাহাজটি উদ্বোধন করেন এবং একে ঐতিহাসিক মুহূর্ত বলে মন্তব্য করেন। তবে আইডব্লিউএআইয়ের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে দ্য প্রিন্টকে বলেন, জাহাজটি এতটাই বড় যে নদীর ওপর দিয়ে পরিচালনা করা কঠিন। ৬ মার্চ জাহাজটির পান্ডু বন্দরে পৌঁছার কথা ছিল। কিন্তু নৌপথে আটকে যায়। অর্থাৎ এই নৌপথের আরও ড্রেজিং প্রয়োজন।

এমভি রাম প্রসাদ বিসমিলের তিনটি অংশ-১৩ হাজার অশ্বশক্তির একটি টাগবোট এবং কল্পনা চাওলা ও এপিজে আবদুল কালাম নামে দুটি বার্জ। পণ্য বোঝাইয়ের পর জাহাজটির ড্রাফট দাঁড়ায় ২ দশমিক ১ মিটার। এ কারণে আইবিপিআরের অনেক জায়গায় ড্রেজিংয়ের প্রয়োজন পড়বে।

উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোর ক্ষেত্রে এর গুরুত্বের বিষয়ে সেলভাকুমার বলেন, একই পণ্য সড়কপথে পরিবহন করলে ট্রাকের প্রয়োজন হতো ১৫০টি। আর রেলপথে পরিবহন করলে ট্রেন প্রয়োজন হতো তিনটি।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here