চেরনোবিল নিউক্লিয়ার রিঅ্যাক্টরের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া প্রিপিয়াত নদীর খনন জুলাই থেকে শুরু হয়েছে। এর উদ্দেশ্য বাল্টিক ও কৃষ্ণসাগরকে সংযোগকারী দুই হাজার কিলোমিটার দীর্ঘ একটি অভ্যন্তরীণ নৌপথ তৈরি। ১৯৮৬ সালে চেরনোবিল দুর্ঘটনার যে দুঃস্বপ্ন, সেটিও উঁকি দিচ্ছে। তেজস্ক্রিয়তায় ইউক্রেনের ৮০ লাখ মানুষের সুপেয় পানি দূষিত হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে বলে সতর্ক করেছেন বিজ্ঞানী ও পরিবেশবাদীরা।
নদীটির এক লাখ ঘনমিটার সেডিমেন্ট খননের কাজটি পেয়েছে ইউক্রেনের ড্রেজিং কোম্পানি সোবি এবং ২০২০ সালের জুলাইয়ে এর খননকাজ শুরু হয়েছে। প্রতিবেশী দেশগুলো বিশেষ করে বেলারুশের সাথে ইউক্রেনের বাণিজ্যের জন্য অভ্যন্তরীণ নৌপথটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
তবে প্রকল্পটির পরিবেশগত প্রভাব নিরূপণে কোনো সমীক্ষা হয়নি বলে দাবি করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও বিভিন্ন এনজিও। এসব এনজিওর মধ্যে আছে সেভ পোলেশিয়া, ডব্লিউডব্লিউএফ ও বার্ডলাইফ। পরিবেশগত প্রভাব নিরূপণ সমীক্ষা না করার মধ্য দিয়ে ইউক্রেন সরকার আইন লঙ্ঘন করেছে বলেও দাবি করেছে সংস্থাগুলো। কারণ, ইউক্রেনের আইনেই কোনো প্রকল্পের আগে পরিবেশগত প্রভাব নিরূপণ সমীক্ষা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।