ভারত-বাংলাদেশ প্রটোকল রুট দিয়ে আবারও পশ্চিমবঙ্গ থেকে ত্রিপুরায় টিএমটি বার পরিবহন করেছে টাটা। এটা ছিল প্রথমবারের মতো মাল্টিমোডাল শিপমেন্ট। এবার ৯৬০ টন টিএমটি বার পশ্চিবঙ্গের হলদিয়া বন্দর থেকে ত্রিপুরার আগরতলায় পরিবহন করে কোম্পানিটি।
টাটার বিবৃতি অনুযায়ী, ২০২৩ সালের ৮ জানুয়ারি বার্জ ‘এমভি বাল্কার ওয়ান’ হলদিয়া বন্দর থেকে যাত্রা আরম্ভ করে। প্রথমে ভারত-বাংলাদেশ প্রটোকল রুট ধরে অভ্যন্তরীণ নৌপথে বাংলাদেশের আশুগঞ্জ বন্দরে পৌঁছায় বার্জটি। সেখানে টিএমটি বারগুলো খালাস করে সড়কপথে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত পার হয়ে আগরতলায় ভারতের স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের গুদামে রাখা হয়। তৃতীয় ও চূড়ান্ত ধাপে ট্রাকে করে এই পণ্য স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের গুদাম থেকে আগরতলায় বিতরণকারীর গুদামে নেওয়া হয়। এই পণ্য পরিবহনে পুরো লজিস্টিকস ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে ছিল টাটা মারট্রেড ইন্টারন্যাশনাল লজিস্টিকস লিমিটেড (টিএমআইএলএল)। পণ্য সংগ্রহ থেকে শুরু করে বিতরণকারীর গুদামে তা পৌঁছে দেওয়া পর্যন্ত সময় লাগে মোট ১৭ দিন।
টাটা স্টিলের জিএসপি ও সাপ্লাই চেইনের ভাইস প্রেসিডেন্ট পীযূষ গুপ্ত বলেন, বাংলাদেশ ও ভারত উভয়ের জন্যই অভ্যন্তরীণ নৌপথ ব্যবহারের সমন্বিত ও নির্ভরযোগ্য লজিস্টিকস সমাধান দিচ্ছে প্রটোকল রুট এবং বর্ধিষ্ণু উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় বাজারের ভোক্তাদের কাছে আরও ভালোভাবে পৌঁছাতে সহায়তা করছে। মাল্টিমোডাল পণ্য পরিবহনে নদী-সমুদ্রের দক্ষ ব্যবহারের উদাহরণ সৃষ্টি করেছে প্রটোকল রুট।
টাটা স্টিলের চিফ গ্রুপ শিপিং রঞ্জন সিনহা বলেন, টিএমআইএলএলের সাথে মাল্টিমোডাল শিপিং সম্পন্ন করতে পারায় টাটা স্টিল গর্বিত। গ্রাহককে আরও কম সময়ে পণ্য পৌঁছে দেওয়ার ব্যাপারে কোম্পানি আশাবাদী। প্রটোকল রুট ব্যবহার করে বাড়তি ও আরও ছোট অঞ্চলে সেবা দেওয়ার সম্ভাবনা খতিয়ে দেখা যেতে পারে। ভারত-বাংলাদেশ প্রটোকল রুট অর্থনৈতিকভাবে যেমন সাশ্রয়ী একইভাবে অনেক বেশি পরিবেশসম্মতও।
এর আগে ২০২২ সালে ১ হাজার ৮০০ টন ইস্পাত পণ্য পশ্চিমবঙ্গের হলদিয়া বন্দর থেকে প্রটোকল রুট হয়ে ব্রহ্মপুত্রের ওপর দিয়ে আসামের পান্ডু বন্দরে পরিবহন করে টাটা। ইস্পাত শিল্প ও দেশকে কার্বনমুক্ত করার উদ্যোগের অংশ হিসেবে অভ্যন্তরীণ নৌপথে এই পণ্য পরিবহন দেশটির বন্দর, জাহাজ চলাচল ও নৌপথমন্ত্রী সর্বানন্দ সনোয়াল উদ্বোধন করেন।
খবর: টাটা স্টিল