বিআইডব্লিউটিএ নিয়মিত প্রকাশনা

বৃহস্পতিবার, জানুয়ারি ২৩, ২০২৫
16 C
Dhaka

বিআইডব্লিউটিএ নিয়মিত প্রকাশনা

নৌযানের মাধ্যমে নৌপথ দূষণ রোধে কঠোর হচ্ছে ভারত

নৌযানের মাধ্যমে সমুদ্র ও অভ্যন্তরীণ নৌপথের দূষণ প্রতিরোধে কঠোর পদক্ষেপ নিচ্ছে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। এর অংশ হিসেবে তারা দেশের মেরিটাইম জোন ও অভ্যন্তরীণ নৌপথে প্রবেশকারী জাহাজ আকস্মিক পরিদর্শন করবে।

সমুদ্র ও অভ্যন্তরীণ নৌপথ দূষণের বিষয়টি নিয়ে সম্প্রতি লোকসভায় আলোচলা হয়। সরকারের তরফ থেকে পরিষ্কার করে বলে দেওয়া হয়েছে, ভারতের বিদ্যমান জাহাজগুলোর পাশাপাশি নতুন এবং নির্মাণাধীন জাহাজকেও কার্যক্রমে আসার আগে দূষণরোধী বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। জাহাজের নির্মাণ শেষ হওয়ার পর সমুদ্রের দূষণ প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় সব সরঞ্জাম বসানো হয়েছে কিনা তা নিশ্চিত করতে প্রাথমিক পরিদর্শন চালানো হবে। এরপর দূষণ প্রতিরোধী সরঞ্জামের পরিচালন সক্ষমতা যাচাইয়ে নিয়মিত ও বার্ষিক পরিদর্শন কার্যক্রমও পরিচালনা করা হবে।

নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, মার্চেন্ট শিপিং অ্যাক্ট, ১৯৫৮-এর ৩৫৬জি ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে বিভিন্ন মার্কেন্টাইল মেরিন ডিপার্টমেন্টের সার্ভেয়ররা ভারতীয় ও বিদেশি পতাকাবাহী জাহাজে আকস্মিক পরিদর্শন কার্যক্রম পরিচালনা করবেন। কোনো জাহাজের ক্ষেতে বিধি ভঙ্গ হলে তা আটক করে জরিমানা আরোপ করা হবে। নিয়ম লঙ্ঘন যাতে না হয় সেজন্য বিভিন্ন বন্দরে জাহাজের মাধ্যমে উৎপন্ন বর্জ্য গ্রহণেরও ব্যবস্থা থাকছে। বর্জ্য গ্রহণে নৌপরিবহন অধিদপ্তর ‘সোয়াচ সাগর’ নামে একটি কেন্দ্রীয় অনলাইন পোর্টালও উন্নয়ন করেছে।

উল্লেখ্য, সালফার অক্সাইডের মাধ্যমে বায়ুদূষণ কমিয়ে আনতে ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন ফর দ্য প্রিভেনশন অব পলিউশন ফ্রম শিপস (মারপল) সংশোধন করা হয়েছে। ২০২০ সালের ১ জানুয়ারি থেকে চালু হয়েছে দশমিক ৫ শতাংশের বেশি সালফরাযুক্ত জ্বালানি ব্যবহার না করার নিয়ম। ভারতের বন্দরে আসা ভারতীয় ও বিদেশি পতাকাবাহী জাহাজের ক্ষেত্রেও একই নিয়ম পরিপালনে ২০১৯ সালে এ-সংক্রান্ত সার্কুলার জারি করেছে নৌপরিবহন অধিদপ্তর। দ্য হিন্দু।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here