নাব্যতা সংকট বৃদ্ধি শিপিং কোম্পানিগুলোকে নদীপথে বিশ্বের প্রধান প্রধান কার্গো রুটগুলো পরিহারে বাধ্য করছে বলে জানিয়েছেন মার্স্কের জ্যেষ্ঠ পরিচালক অ্যান ক্রিস্টিনা সেআয়েক-অ্যান্ডারসেন। তিনি বলেন, গত গ্রীষ্মে ইউরোপে আমাদের অনেক কার্গো নদীপথের পরিবর্তে রেলপথে পরিবহন করতে হয়েছে। জার্মানির ব্যাডেন-উরটেমবার্গ, বাভারিয়া এবং রটারডাম ও আন্টওয়ার্প বন্দরের সাথে সংযুক্ত হেসেনের শিল্পকে স্বাভাবিক রাখতে আমাদের এটা করতে হয়েছে।
সুপরিসর রাইন নদী দিয়ে কার্গো রিভারবোটে প্রতি বছর ৩০ কোটি টনের বেশি পণ্য পরিবাহিত হয়। সুইজারল্যান্ড থেকে নেদারল্যান্ডস পর্যন্ত প্রায় ৮০০ মাইল পথ পাড়ি দেয় এসব রিভারবোট। কিন্তু গত বছর গ্রীষ্মে পানির গভীরতা রেকর্ড কমে যাওয়ায় কিছু নৌযান ধারণক্ষমতার মাত্র ২৫ শতাংশ কার্গো নিয়ে চলাচল করে, যাতে করে আটকে না যায়। এর ফলে পণ্য পরিবহন মারাত্মক বিলম্বিত হয়।
স্লোয়েক-অ্যান্ডারসেন বলেন, জার্মানি ও সুইজ্যারল্যান্ডের অনেক স্বনামধন্য বøু-চিপ কোম্পানি রয়েছে, যেগুলোকে কাঁচামাল ও উৎপাদিত পণ্য আনা-নেওয়ায় অভ্যন্তরীণ নৌপথের ওপর নির্ভর করতে হয়। মার্স্ক যেসব কার্গো পরিবহন করে তার মধ্যে তাপমাত্রা সংবেদনশীল কাঁচা পণ্য ও ফার্মাসিউটিক্যাল পণ্য থেকে শুরু করে রাসায়নিকের মতো কাঁচামাল এবং গাড়ি ও মেশিনের যন্ত্রাংশও রয়েছে। যেখানে সম্ভব গ্রাহকের কার্গো আমরা বার্জে পরিবহন করে থাকি। কারণ, ট্রাকের তুলনায় এটি অনেক কম কার্বন ডাই-অক্সাইড নিঃসরণ করে।
ফিনল্যান্ডের হেলসিঙ্কির হ্যানকেন স্কুল অব ইকোনমিকসের সহকারী অধ্যাপক ও সাপ্লাই চেইন বিশেষজ্ঞ সারাহ শিফলিং বলেন, প্রমত্তা মিসিসিপি নদীতে আপনি হেঁটে বেড়াতে পারবেন, যার জন্য আমরা কখনোই তৈরি ছিলাম না। মিসিসিপি নদী দিয়ে প্রতি বছর ৫০ কোটি টনের বেশি কার্গো পরিবাহিত হয়ে থাকে। কিন্তু গত বছর পানির গভীরতা হ্রাস পাওয়ায় ২ হাজার কোটি ডলারের অর্থনৈতিক ক্ষতি হয়েছে।
শিফলিং বলছিলেন, কম বৃষ্টিপাত নতুন ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। গত বছর বিশ্বের বহু স্থানে একই সময়ে আমরা এটা দেখেছি। অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহনে এ ঘটনা মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে।