আন্টওয়ার্প ও রটারডামের অভ্যন্তরীণ নৌপথে জাহাজজট কয়েক বছরের সর্বোচ্চে পৌঁছেছে। এই পরিস্থিতি নৌপথ ব্যবহারকারীদের বিপাকে ফেলে দিয়েছে।
কন্টার্গোর তথ্য অনুযায়ী, আন্টওয়ার্প বন্দরে জাহাজের অপেক্ষমাণ সময় ৪৪ ঘণ্টা থেকে বেড়ে ৯৪ ঘণ্টায় পৌঁছেছে। পাশাপাশি রটারডামে জটও ৫০ শতাংশ বেড়েছে। এতে জাহাজের অপেক্ষমাণ সময় বেড়ে হয়েছে ১২৮ ঘণ্টা।
কন্টার্গোর কাছ থেকে এ ব্যাপারে কোনো বক্তব্য না পাওয়া গেলেও উত্তর ইউরোপের জলপথে জাহাজ পরিচালনাকারীদের জন্য দেড় দশকের বেশি সময় ধরে এই জট নিয়মিত ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। রটারডামে অপেক্ষমাণ সময় ১২৮ ঘণ্টায় পৌঁছালে একই সময়ে রটারডাম ও আন্টওয়ার্প উভয়ের ক্ষেত্রে জট বিরল ঘটনা। এর কারণ হিসেবে সংশ্লিষ্টরা আল্ট্রা-লার্জ কনটেইনার ভেসেল (ইউএলসিভি) চালু এবং অংশীজনদের মধ্যে সমন্বয়ের ব্যর্থতাকে দায়ী করছেন।
সিজসি৪ইউয়ের গুন্টার গিংকেলস বলেন, এ সমস্যার সমাধানে সব অংশীজনকে পারস্পরিক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য বিনিময় করতে হবে, যাতে করে সিনক্রো-মোডালিটির মাধ্যমে দ্রুততার সাথে দক্ষভাবে পণ্য পরিবহন সম্ভব হয়।
সিনক্রো-মোডালিটিকে যদি একটা জাল হিসেবে ধরা হয় তাহলে টার্মিনাল অপারেটররা এখানে মাকড়সা। অংশীজনদের তথ্যের ভিত্তিতে সমুদ্রগামী জাহাজ থেকে পণ্য গন্তব্যে পৌঁছানোর ব্যবস্থা করে। পরিবহনের মাধ্যম কী হবে এবং সম্ভাব্য সময় কত হবে সেটা তারা নির্ধারণ করে। মাধ্যমটি হতে পারে সড়ক, রেল ও অভ্যন্তরীণ নৌপথের সমন্বয়ে।
গত ১২ মাসে আন্টওয়ার্প অপেক্ষমাণ সময় একদিন থেকে দেড় দিনে নামিয়ে আনতে পেরেছে। কিন্তু রটারডামের জট এখনো ভয়াবহ অবস্থায় রয়ে গেছে।
খবর : লোডস্টার