কোভিড-১৯-এর কারণে লকডাউন থেকে সারা বিশ্ব বেরিয়ে আসায় ইস্পাতের দাম বাড়তে শুরু করেছে। অন্যান্য শিল্পের মতো ইস্পাত শিল্পও বাজার সম্পর্কে আগাম ধারণা করতে হিমশিম খাচ্ছে এবং কখনো কখনো ভোক্তা ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলোর অস্থিতিশীল সিদ্ধান্তের সাথে খাপ খাওয়াতে ব্যর্থ হচ্ছে। রাশিয়ার ইউক্রেনে হামলার ঠিক আগে আগে গত বছরের সর্বোচ্চ অবস্থান থেকে ইস্পাতের দাম কিছুটা কমেছিল।
ইউক্রেন সংকট সব পণ্যের দামই আবার ঊর্ধ্বমুখী করে তুলেছে। এসব পণ্যের অনেকগুলোই পরিবহন করা হয় বার্জের মাধ্যমে। রাশিয়া ও ইউক্রেন উভয়েই ইস্পাত, গম, ভেজিটেবল অয়েল ও সারের প্রধান রপ্তানিকারক। একই সাথে ইউক্রেন শস্যেরও বড় রপ্তানিকারক। এসব পণ্যের মূল্য ও সরবরাহের পরোক্ষ প্রভাব আছে প্রায় সব পণ্যের মূল্যে।
রিভার ট্রান্সপোর্ট নিউজের তথ্য অনুযায়ী, একইভাবে ইস্পাতের আকাশচুম্বী দাম বার্জ নির্মাণের গতি শ্লথ করে দিয়েছে। কয়েক মাস আগে যেসব বার্জ নির্মাণের চুক্তি সম্পাদিত হয়েছিল ইস্পাতের দামও তখন কম ছিল। বর্তমানে ইস্পাতের দাম বাড়ায় বার্জ নির্মাতারা নতুন নির্মাণের সিদ্ধান্ত গ্রহণের আগে নিঃসন্দেহে ইস্পাতের বাজার পর্যালোচনা করে দেখবে।
ইস্পাতের মূল উপাদান লোহা, আকরিক, পিগ আয়রন ও নিকেলের সরবরাহ-স্বল্পতার কারণে পণ্যটির দাম ভবিষ্যতেও যে উচ্চ থাকবে, এ ব্যাপারে কোনো সন্দেহ নেই। পণ্যসংক্রান্ত এসব ইস্যু নিঃসন্দেহে পণ্যের উচ্চমূল্যস্ফীতির পেছনে ভূমিকা রাখবে। পাশাপাশি বার্জের ভাড়াও বেড়েছে।