চীনের দীর্ঘতম নদী ইয়াংজির প্রাণবৈচিত্র্য ফেরাতে ২০২০ সালের জানুয়ারিতে তাৎপর্যপূর্ণ একটি পদক্ষেপ নেয় দেশটির সরকার। নদীঅববাহিকার ৩৩২টি সংরক্ষিত এলাকায় ১০ বছরের জন্য মাছ ধরা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এর ফলও পাওয়া যাচ্ছে। ৬ হাজার ৩০০ কিলোমিটার দীর্ঘ ইয়াংজির প্রাণবৈচিত্র্য ধীরে ধীরে ফিরে আসছে। নদীর জিয়াংসু সেকশনে এখন কমবেশি ৭৯ প্রজাতির জলজপ্রাণির দেখা মিলছে। ২০১৭ সালের গোড়ার দিকে যেখানে বড় জোর ৪৮ প্রজাতির জলজপ্রাণীর দেখা পাওয়া যেত।
চীনের জলজপ্রাণী সম্পর্কিত সর্বশেষ বুলেটিনটি ২০১৯ সালে প্রকাশ করা হয়। তাতে ইয়াংজি নদীর পানির মান ভালো বলে উল্লেখ করা হয়। তবে কিছু বিরল প্রজাতির জলজপ্রাণী সংরক্ষণের ব্যবস্থা দুর্বল বলে উল্লেখ করা হয় বুলেটিনে।
সাম্প্রতিক বছরগুলোয় ইয়াংজিতে মাছের প্রাপ্যতাও ব্যাপক হারে হ্রাস পেয়েছে। ১৯৫০ সালের দিকে যেখানে নদীটি থেকে বছরে ৪ লাখ ২০ হাজার টন মাছ পাওয়া যেত, এখন সেখানে পাওয়া যাচ্ছে মাত্র এক লাখ টন। এ পরিমাণ চীনে মিঠা পানির মাছের মোট দশমিক ৩২ শতাংশ।
ইয়াংজিতে মাছের উৎপাদন বাড়াতে ও প্রাণবৈচিত্র্য ফেরাতে দীর্ঘমেয়াদি উদ্যোগটি নেওয়া হয়েছে। জেলেদের অনেকেই মাছ ধরা ছেড়ে দিয়ে অন্য পেশা ধরেছেন। এজন্য অবশ্য সরকারের তরফ থেকে তাদেরকে ২৬ হাজার ডলার ভর্তুকি দিতে হচ্ছে।
চীনের কৃষি ও গ্রামীণ উন্নয়ন মন্ত্রণালয়ের পরিসংখ্যান বলছে, ইয়াংজি তীরবর্তী ১০টি প্রাদেশিক অঞ্চলের ২ লাখ ৩১ হাজার জেলে জালের সাথে তাদের সম্পর্কের ইতি টেনেছেন। ১ লাখ ১১ হাজার নৌকার সাহায্যে ইয়াংজিতে মাছ ধরতেন তারা। পাশাপাশি নদীটিতে ৫০০ কোটি মাছের পোনা ছাড়া হয়েছে।