উত্তর প্রদেশের বারাণসী ও পশ্চিমবঙ্গের হলদিয়া থেকে ভারী কার্গো জাহাজ প্রতিবেশী দেশের মধ্য দিয়ে আসামের পান্ডু নদীবন্দরে যাতায়াত করলে এ বছরের মাঝামাঝি নাগাদ অভ্যন্তরীণ নৌপথ ব্যবহার করে বাংলাদেশ-ভারত বাণিজ্য বাড়বে। ৯ জানুয়ারি গুয়াহাটিতে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে এই কথা বলেন ভারতের বন্দর, জাহাজ চলাচল ও নৌপথবিষয়ক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সর্বানন্দ সনোয়াল।
সনোয়াল বলেন, বড় কার্গো জাহাজ চলাচল সহজ করতে তার মন্ত্রণালয় গঙ্গা ও ব্রহ্মপুত্রের গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে খননের উদ্যোগ নিয়েছে। আসামের সাদিয়া থেকে প্রতিবেশী দেশের মধ্য দিয়ে পশ্চিমবঙ্গের হলদিয়া পর্যন্ত ২ হাজার কিলোমিটার নৌপথ তৈরির লক্ষ্যে ভারত সরকারের সহায়তায় যমুনা নদীতে কাজ করছে বাংলাদেশ। মিজোরাম, ত্রিপুরা ও আসামকে তিনটি কৌশলগত বন্দর মিয়ানমারের সিতওয়ে এবং বাংলাদেশের মোংলা ও চট্টগ্রাম বন্দরের সাথে সংযুক্ত করতে কাজ করছি আমরা।
তিনি বলেন, উত্তর-পূর্বাঞ্চলের নৌপথকে বঙ্গোপসাগরের প্রধান বন্দরগুলোর সাথে যুক্ত করা গেলে এ অঞ্চলের অর্থনৈতিক সম্ভাবনাই কেবল খুলবে না, ল্যান্ডলকড অঞ্চলকে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য রুটে প্রবেশাধিকার দেবে। ব্রহ্মপুত্রের খননকাজ সফলভাবে সম্পন্ন করতে আসামের তেজপুর ইউনিভার্সিটি, গুয়াহাটির ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি এবং শিলংয়ের ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব ম্যানেজমেন্টের বিশেষজ্ঞদের সহায়তা চাওয়া হয়েছে। কার্গো জাহাজ, যাত্রীবাহী জাহাজ এমনকি সি-প্লেনও যাতে নৌপথ ব্যবহার করতে পারে সেজন্য এই দুটি নদীতে দুই থেকে আড়াই মিটার পর্যন্ত খননের আয়োজন করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
খবর : দ্য হিন্দু