অভ্যন্তরীণ নৌপথে পণ্য পরিবহন বাড়াতে মাশুল মওকুফ ভারতের

0
22

পরিবেশবান্ধব ও সাশ্রয়ী মাধ্যম হিসেবে অভ্যন্তরীণ নৌপথে পণ্য পরিবহন বাড়াতে আগামী তিন বছরের জন্য মাশুল না নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে ভারতের নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়। এই সিদ্ধান্তের ফলে ২০২২-২৩ সাল নাগাদ দেশটির অভ্যন্তরীণ নৌপথে কার্গো পরিবহন ১১ কোটি টনে উন্নীত হবে বলে মনে করা হচ্ছে। ২০১৯-২০ সালে ভারতের অভ্যন্তরীণ নৌপথে পণ্য পরিবহনের পরিমাণ ছিল ৭ কোটি ২০ লাখ টন।

মাশুল মওকুফের কথা জানিয়ে ভারতের কেন্দ্রীয় নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী মনসুখ মন্দাভিয়া ২৫ জুলাই বলেন, বর্তমানে মোট কার্গো পরিবহনের মাত্র ২ শতাংশ হয় অভ্যন্তরীণ নৌপথে। মাশুল মওকুফের সিদ্ধান্ত বিভিন্ন শিল্পকে তাদের লজিস্টিক প্রয়োজনে অভ্যন্তরীণ নৌপথ ব্যবহারে উৎসাহিত করবে। পরিবেশবান্ধব ও সাশ্রয়ী হওয়ায় পরিবহনের অন্য মাধ্যমগুলোর ওপর থেকে চাপ কমিয়ে ব্যবসায়িক পরিবেশ উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে এই উদ্যোগ।

জাতীয় সব নৌপথেই আগে নৌযানের জন্য নির্দিষ্ট মাশুল প্রযোজ্য ছিল। ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা ও এ সংক্রান্ত উপাত্ত সংগ্রহের ক্ষেত্রে এটা ছিল এক ধরণের প্রতিবন্ধকতা। ইনল্যান্ড ওয়াটারওয়েজ অথোরিটি অব ইন্ডিয়া বর্তমানে জাতীয় জলপথ ব্যবহার বাবদ কার্গো জাহাজের ক্ষেত্রে প্রতি কিলোমিটারে টনপ্রতি দশমিক শূন্য ২ রুপি মাশুল ধার্য করেছে। আর ক্রুজ জাহাজের ক্ষেত্রে মাশুল নির্ধারণ করা হয়েছে প্রতি কিলোমিটারে টনপ্রতি দশমিক শূন্য ৫ রুপি।

ভারতে উপকূল আছে সাড়ে সাত হাজার কিলোমিটার। তারপরও বৈদেশিক বাণিজ্যের (পরিমাণে) ৯০ শতাংশ পণ্য হ্যান্ডলিং হয় সমুদ্র বন্দরে। আর মূল্যের হিসাবে এ হার দাঁড়ায় ৭০ শতাংশ।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here