বিআইডব্লিউটিএ নিয়মিত প্রকাশনা

বৃহস্পতিবার, জানুয়ারি ২৩, ২০২৫
14 C
Dhaka

বিআইডব্লিউটিএ নিয়মিত প্রকাশনা

বাংলাদেশ-সেভেন সিস্টার্স বাণিজ্য আরো বেশি নৌপথ ব্যবহারের তাগিদ

বাংলাদেশ ও ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোর মধ্যে বাণিজ্য জোরদার করতে আরো বেশি নৌপথ ব্যবহার ও এ-সংক্রান্ত অবকাঠামো উন্নয়নের তাগিদ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞ, আইনজীবী, শিক্ষাবিদ ও ব্যবসায়ীরা।

বাংলাদেশে প্রবাহিত অভিন্ন নদী রয়েছে ৫৭টি। এর মধ্যে ভারতের সাথে অভিন্ন নদীর সংখ্যা ৫৪টি। গঙ্গা, ব্রহ্মপুত্র ও তিস্তা এর অন্যতম। বাকি তিনটি অভিন্ন নদী বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বাংলাদেশ ও ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোর মধ্যে নৌ যোগাযোগ জোরদার করতে প্রয়োজনীয় অবকাঠামো উন্নয়নের পরামর্শ দিয়েছে ভারতের শীর্ষ শিল্প ও বাণিজ্য সংগঠন ফেডারেশন অব ইন্ডিয়ান চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ফিকি)।

সংগঠনটির নর্থইস্ট চ্যাপ্টারের পরিচালক বিশ্বজিৎ চক্রবর্তী বলেন, নৌপথে পরিবহন ও বাণিজ্য মেঘনা অববাহিকায় বসবাসকারীদের জীবন ও জীবিকায় ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে পারে।

মেঘনার উজানে বন উজাড়ের কারণে নদীতে পলি জমার পরিমাণ বেড়ে গেছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। জুন মাসে ‘এনগেজিং দ্য প্রাইভেট সেক্টর ইন রিভাইভিং ওয়াটারওয়েজ ইন দ্য মেঘনা বেসিন ফর ট্রেড অ্যান্ড ট্রানজিট’ শীর্ষক এক ভার্চুয়াল আলোচনা অনুষ্ঠানে বিশ্বজিৎ চক্রবর্তী বলেন, বড় নদীগুলো শাসনের পাশাপাশি ব্যাপক পরিসরে বনায়ন এবং প্রয়োজনীয় অবকাঠামো নির্মাণ এ অঞ্চলের জন্য দীর্ঘমেয়াদি সুফল বয়ে আনতে পারে।

মেঘনা অববাহিকার বাস্তুতন্ত্রের ওপর নির্ভরশীল ৫ কোটির বেশি মানুষ। বাংলাদেশ উইমেন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (বিডব্লিউসিসিআই) প্রতিষ্ঠাতা ও বর্তমান সভাপতি সেলিমা আহমাদ বলেন, ঐতিহাসিকভাবেই মেঘনা অববাহিকা উত্তর-পূর্ব ভারতের জন্য সমৃদ্ধ হিন্টারল্যান্ড। বাংলাদেশ ও ভারতের বিদ্যমান সরকারগুলোর মধ্যে চমৎকার সম্পর্ক কাজে লাগিয়ে ঐতিহাসিক এই ট্রেড রুটগুলো ফিরিয়ে আনা দরকার।

ভার্চুয়াল আলোচনা অনুষ্ঠানটির আয়োজন করে জয়পুরভিত্তিক বেসরকারি সংস্থা কাটস ইন্টারন্যাশনাল। সহযোগিতায় ছিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনজারভেশন অব নেচার (আইইউসিএন) এবং অক্সফাম ট্রান্সবাউন্ডারি রিভার্স অব সাউথ এশিয়ার (ট্রোসা) মাধ্যমে সুইডিশ ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট কো-অপারেশন এজেন্সির (সিডা) অর্থায়নপুষ্ট ব্রিজ জিবিএম প্রকল্পের অধীনে একাধিক আন্তর্জাতিক ইনস্টিটিউশন। আলোচনা অনুষ্ঠানের উদ্দেশ্য ছিল অভ্যন্তরীণ নৌপথ ব্যবহার করে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য সম্পর্কিত একাধিক ইস্যুতে বাংলাদেশ ও ভারত উভয় দেশের ব্যবসায়ী কমিউনিটিকে এক জায়গায় আনা।

সিলেট চেম্বার অব কমার্সের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট চন্দন সাহা আলোচনায় অংশ নিয়ে বলেন, ৮০-এর দশকেও সোনামুড়া-দাউদকান্দি নৌরুট দিয়ে ভারত দিয়ে নিয়মিত কয়লা ও বোল্ডার রপ্তানি হতো। নাব্যতা সংকটের কারণেই মূলত এই পথে বাণিজ্য বন্ধ হয়ে যায়। গোমতীর প্রবাহ ধীরে ধীরে পরিবর্তিত হলেও ড্রেজিং খুব দরকার।

নাব্যতা সংকটের বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে বিকল্প হিসেবে ছোট নৌযান পরিচালনা করা যেতে পারে বলে মনে করেন ত্রিপুরা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের প্রেসিডেন্ট এমএল দেবনাথ।

বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে স্থল সীমান্ত রয়েছে ২ হাজার ৯৭৯ কিলোমিটার এবং নৌ সীমান্ত ১ হাজার ১১৬ কিলোমিটার। ভারতের পাঁচটি রাজ্য পশ্চিমবঙ্গ, মেঘালয়, মিজোরাম, আসাম ও ত্রিপুরার সাথে সীমান্তই ৪ হাজার ৯৬ কিলোমিটার।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here