জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীতে বিআইডব্লিউটিএ’র ১০৫টি জলযান ৬ জুন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। নবনির্মিত এসব অবকাঠামো ও জলযানের মধ্যে রয়েছে বিআইডব্লিউটিএ’র ২০টি কাটার সাকশন ড্রেজার, ৮৩টি ড্রেজার সহায়ক জলযান, প্রশিক্ষণ জাহাজ ‘টিএস ইলিয়াস আহমেদ চৌধুরী (দাদা ভাই)’, বিশেষ পরিদর্শন জাহাজ ‘পরিদর্শী’ এবং নবনির্মিত নারায়ণগঞ্জ ড্রেজার বেইজ। বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্পোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) দুটি উপকূলীয় যাত্রীবাহী জাহাজ ‘এমভি তাজউদ্দীন আহমদ’ ও ‘এমভি আইভি রহমান’, পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের ‘পায়রা আবাসন’ পুনর্বাসন কেন্দ্র এবং পাবনা, বরিশাল, রংপুর ও সিলেট মেরিন একাডেমিও এদিন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।
এসব অবকাঠামো ও জলযান স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে নৌ খাতের উন্নয়নে নতুন মাত্রা যোগ করবে। মুজিব শতবর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে বাংলাদেশে তৈরি ২০টি কাটার সাকশন ড্রেজারসহ শতাধিক নৌযান একসাথে উদ্বোধন বাংলাদেশের ইতিহাসে উল্লেখযোগ্য মাইলফলক হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থাকবে। ‘নবসৃষ্ট অবকাঠামো ও জলযান’ নদীর নাব্যতা রক্ষা, নৌপথ উন্নয়ন, উপকূলীয় এলাকার যাত্রী পরিবহন ও দক্ষ নৌ কর্মী তৈরিতে ভূমিকা রাখবে বলে মনে করা হচ্ছে।
বদ্বীপ পরিকল্পনা, ২১০০ বাস্তবায়ন ও আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহার অনুযায়ী সরকার ১০ হাজার কিলোমিটার নৌপথ খননে বদ্ধপরিকর। এ লক্ষ্যে ২০টি ড্রেজার ও ৮৩টি ড্রেজার সহায়ক জলযান প্রস্তুত করা হয়েছে। নৌপথ খনন ও নাব্যতা বজায় রাখার লক্ষ্যে ২০০৯ সালে সরকার গঠনের পর ২০১৫ সাল পর্যন্ত ১৮টি ড্রেজার সংগ্রহ করা হয়। বর্তমানে ২০টি ড্রেজার বিআইডব্লিউটিএ’র বহরে যুক্ত হয়ে মোট ৪৫টি ড্রেজারের শক্তিশালী ইউনিট সৃষ্টি হয়েছে। সরকারের বর্তমান মেয়াদে আরো ৩৫টি ড্রেজার সংগ্রহের লক্ষ্য রয়েছে।
বিআইডব্লিউটিসি’র উপকূলীয় যাত্রীবাহী জাহাজ ও সি-ট্রাক বহরকে দক্ষ ও যুগোপযোগী করতে নবনির্মিত অত্যাধুনিক যাত্রীবাহী জাহাজ ‘এমভি তাজউদ্দীন আহমদ’ ও ‘এমভি আইভি রহমান’ নির্মাণ করা হয়েছে। জাহাজ দুটি কুমিরা-গুপ্তছড়া এবং চট্টগ্রাম-সন্দ্বীপ-হাতিয়া-বরিশাল রুটে চলাচল করবে। জাহাজ দুটির মাধ্যমে বছরে ৬ লাখ ৩০ হাজার যাত্রী পরিবহন করা সম্ভব হবে।