নৌ-প্রটোকল চুক্তির আওতায় স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে বাংলাদেশ থেকে নৌপথে ভারতে খাদ্যপণ্যের রপ্তানি ১৬ মার্চ শুরু হয়েছে। নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহ্মুদ চৌধুরী এদিন নরসিংদীর পলাশে অবস্থিত ‘প্রাণ ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক’ এর জেটি থেকে ভারতগামী খাদ্যপণ্যবাহী জাহাজের যাত্রা উদ্বোধন করেন।
প্রতিমন্ত্রী এ সময় বলেন, ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসারে সরকার গুরুত্বপূর্ণ অনেক পদক্ষেপ নিয়েছে। দেশের সামগ্রিক অর্থনৈতিক উন্নয়নে রপ্তানি বাণিজ্যের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিবেশী দেশ ভারতের সাথে বাংলাদেশের বাণিজ্য সম্পর্ককে আরও জোরদার করতে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) নৌপথে সরাসরি ভারতে পণ্য রপ্তানিতে যাবতীয় উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এ উদ্যোগের ফলে ভারতে বাংলাদেশের পণ্য রপ্তানি বাড়বে। কারণ, নৌপথে পণ্য পরিবহন তুলনামূলক সাশ্রয়ী। তাছাড়া কলকাতাসহ ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোতে খাদ্যপণ্যসহ বাংলাদেশী পণ্যের চাহিদা দিন দিন বাড়ছে।
স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর মাহেন্দ্রক্ষণে বাংলাদেশ থেকে ভারতে নৌপথে খাদ্যপণ্যবাহী জাহাজ প্রেরণে সারা পৃথিবীতে অবস্থানরত বাংলাদেশিরা গৌরববোধ করবেন বলে মনে করেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী। তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি ঠিকই কিন্তু মুক্তির লক্ষ্যে এগোতে পারিনি। বঙ্গবন্ধুর সময়ে দেশের অর্থনীতি এগিয়ে যেতে শুরু করেছিল। কিন্তু বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর সঠিক নেতৃত্বের অভাবে সবকিছুতেই দেশ পিছিয়ে যায়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে বাংলাদেশের অর্থনীতির ঝুড়ি শুধু ভরে যায়নি, ঝুড়ি ভরে নৌপথে খাদ্যপণ্য রপ্তানি করছি।
বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান কমডোর গোলাম সাদেকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন সংসদ সদস্য মো. আনোয়ারুল আশরাফ, বাণিজ্য সচিব ড. মো. জাফর উদ্দিন, নৌপরিবহন সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ্ উদ্দিন চৌধুরী এবং প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের চেয়ারম্যান আহসান খান চৌধুরী। প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের পক্ষ থেকে জানানো হয়, নৌপথে খাদ্যপণ্যের প্রথম চালান হিসেবে প্রাণ গ্রুপের উৎপাদিত ২৫ হাজার কার্টন লিচি ড্রিংক নরসিংদীর পলাশে অবস্থিত প্রাণ ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক থেকে ২৫ ফেব্রুয়ারি রওনা হয়ে কলকাতা বন্দরের টিটি শেডে গিয়ে পৌঁছায়। এই পরিমাণ পণ্য স্থলবন্দর দিয়ে রপ্তানি করলে ২৫টি ট্রাকের প্রয়োজন হতো। ১৯৯৭ সালে ত্রিপুরায় চানাচুর রপ্তানির মাধ্যমে ভারতে প্রাণ গ্রুপের রপ্তানি কার্যক্রম শুরু হয়। ভারতের ২৮টি রাজ্যের সবগুলোতেই এখন পণ্য রপ্তানি করছে প্রাণ।
