নদীতীরের তিন বিদ্যুৎ কোম্পানির স্থাপনা উচ্ছেদের নির্দেশ

0
25

বুড়িগঙ্গা ও তুরাগের তীর দখল করে গড়ে তোলা মাইশা গ্রুপের মালিকানাধীন তিনটি বিদ্যুৎ কোম্পানি সিএলসি পাওয়ার, ঢাকা নর্থ পাওয়ার ইউটিলিটি ও ঢাকা ওয়েস্ট পাওয়ার লিমিটেডের স্থাপনা উচ্ছেদের পক্ষে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট। বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) উচ্ছেদ কাজ চ্যালেঞ্জ করে রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর ভার্চুয়াল বেঞ্চ ৯ ডিসেম্বর এ রায় দেন আদালত।

রায়ে আদালত বলেন, নদীর ওপর আমাদের নির্ভরতা অনেক। নদীকে ক্ষতিগ্রস্ত করে এমন কোনো কিছু আদালত বিবেচনা করবে না। সিএস (ক্যাডাস্ট্রাল সার্ভে) রেকর্ডকে নদীর সীমানা বিবেচনা করতে হবে। নদীকে যে কোনোভাবে রক্ষা করতে হবে এবং নদী রক্ষা কমিশনের প্রতিবেদনকে গুরুত্ব দিতে হবে। বাদীর দাবির বিষয়টি বিরোধপূর্ণ। সুতরাং রিট আবেদনটি গ্রহণযোগ্য নয়। এসব বিবেচনায় রুলটি খারিজ করা হলো।

ঢাকার চারপাশের নদীগুলোর অবৈধ দখল বন্ধে ২০০৯ সালে হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের (এইচআরপিবি) পক্ষে জনস্বার্থে করা একটি রিট মামলায় নয় দফা নির্দেশনা দিয়ে রায় ঘোষণা করেন হাইকোর্ট। সেখানে সিএস ম্যাপ অনুযায়ী নদীগুলোর সীমানা জরিপ কাজ সম্পন্ন করে সীমানা পিলার স্থাপন ও নদীর জায়গা দখল করে গড়ে তোলা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের নির্দেশনা দেওয়া হয়। নির্দেশনা অনুযায়ী বিআইডব্লিউটিএ গত মার্চে মাইশা গ্রুপের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ কার্যক্রম চালায়। গত ২৩ আগস্ট সংস্থাটি আরিশা ইকোনমিক জোন কর্তৃপক্ষকে সাতদিনের মধ্যে নদীর জমি থেকে স্থাপনা উচ্ছেদ করতে নোটিস দেয়। সেই সাথে ভরাট করা মাটি সরিয়ে ভূমি আগের অবস্থায় ফিরিয়ে দিতে বলা হয়। নোটিস পাওয়ার পর গত ২৬ আগস্ট জবাব দেয় আরিশা কর্তৃপক্ষ।

তাতে তুরাগের জমি দখলের অভিযোগ অস্বীকার করার পাশাপাশি বিরোধপূর্ণ এলাকায় যৌথ জরিপ করার প্রস্তাব দেওয়া হয়। বিআইডব্লিউটিএ কোনো জবাব না দিলে হাইকোর্টে রিট আবেদন করে মাইশা গ্রুপ।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here