শ্যামপুরের ভাসমান ডকে ধ্রুবতারার আনডকিং

0
25

শ্যামপুরের ভাসমান ডকে ৮ ডিসেম্বর বিআইডব্লিউটিএ’র জাহাজ ‘ধ্রুবতারা’ আনডকিং করা হয়। ধ্রুবতারা জাহাজ দিয়ে অভ্যন্তরীণ এবং উপকূলীয় নৌপথের বিভিন্ন রুটে নির্বিঘেœ জাহাজ চলাচলের জন্য বয়া-বিকন স্থাপন ও প্রতিস্থাপনের কাজ করা হয়ে থাকে।

ধ্রুবতারা উদ্বোনকালে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহ্‌মুদ চৌধুরী এমপি বলেন, নদীর জায়গা দখল করে উন্নয়ন কর্মকান্ড পরিচালনা সরকার পছন্দ করে না। নদীর জায়গা অবৈধভাবে দখল করে কেউ উন্নয়নের সুযোগ পাবে না। নদীতীরের জায়গা দখল রোধে সরকার সঠিক পথে এগোচ্ছে। নদীতীরের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে বিআইডব্লিউটিএ’র কার্যক্রমে মহামান্য হাইকোর্ট ও দেশবাসী সন্তুষ্ট।

তিনি বলেন, প্রতিমন্ত্রী এ সময় বলেন, কোভিড-১৯ মহামারির কারণে উচ্ছেদ ধীরগতিতে চললেও কার্যক্রম চলমান রয়েছে এবং ধারাবাহিকভাবে এ কার্যক্রম চলবে। নদীতীরের সীমানা চিহ্নিত করা হয়েছে। নদীর জায়গা নদীকে ফিরিয়ে দিতে চাই।

শ্যামপুরে স্থাপিত বিআইডব্লিউটিএ’র ভাসমান ডকটি ১৯৬৭ সালে জার্মানিতে নির্মাণ করা হয়। এটি বাংলাদেশে আনা হয় ১৯৬৮ সালে। ভাসমান ডকটিতে একটি পাঁচ টন ক্ষমতাসম্পন্ন ক্রেন, দুটি ১৫০ কেভিএ জেনারেটর ও চারটি ক্যাপস্টান রয়েছে। জলযান ডকিংয়ের পর মেরামতকাজ করার জন্য এখানে ১৩টি ওয়েল্ডিং রেগুলেটর রয়েছে। ডকটিতে যেকোনো জলযানের আন্ডার ওয়াটার অংশ এবং প্রপালশন ইউনিটসহ সব অংশের মেরামতকাজ খুবই সুবিধাজনক। ৮০০ টন পর্যন্ত ওজনের যেকোনো জাহাজ ভাসমান জাহাজ, ড্রেজার, বার্জ পন্টুন কাঠামো, যার দৈর্ঘ্য ও প্রস্থ ভাসমান ডকের রানওয়ের বেশি নয়, সেগুলো ভাসমান ডকে ডকিং ও আন-ডকিং করা যায়।

ভাসমান ডকে বিআইডব্লিউটিএ ও অন্যান্য সংস্থার জলযানের জরুরি মেরামতকাজ সম্পন্ন করা হয়। প্রয়োজনে ভাসমান ডকটি অন্য স্থানে নিয়েও জরুরি মেরামতকাজ করা যায়। ভাসমান ডকটি ২০০২ সালে বরিশাল থেকে এনে ঢাকার শ্যামপুরে স্থাপন করা হয়। ২০১০ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত ডকটিতে ৭৫টি জলযান ডকিং এবং আন-ডকিং করা হয়েছে। ভাসমান ডকটি বিআইডব্লিউটিএ তথা বাংলাদেশের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here