আলোচনায় বিশিষ্টজনেরা নদী ও নৌ-খাত রক্ষায় সরকারের উদ্যোগ ইতিবাচক

0
19

বর্তমান সরকার দেশের নদ-নদী রক্ষাসহ নৌপরিবহন খাতের উন্নয়নে যেসব উদ্যোগ গ্রহণ করেছে, সেগুলোকে ইতিবাচক বলে মন্তব্য করেছেন বিশিষ্টজনেরা। ৩ অক্টোবরে পরিবেশবাদী সংগঠন গ্রিন ক্লাব অব বাংলাদেশ (জিসিবি) আয়োজিত ‘নদী রক্ষা ও নৌ-খাতের উন্নয়ন: বঙ্গবন্ধু থেকে শেখ হাসিনা’ শীর্ষক এক অনলাইন আলোচনায় এই অভিমত ব্যক্ত করেন।

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মীর তারেক আলী বলেন, আমাদের দেশের ভূ-প্রাকৃতিক অবস্থা ও অধিক জনসংখ্যার বিষয়টিকে প্রাধান্য দিয়ে ভূমির ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। সেক্ষেত্রে প্রকৃতিপ্রদত্ত নদ-নদীর সুষ্ঠু ব্যবহারের মাধ্যমে নৌপরিবহন ব্যবস্থাকে আরো সম্প্রসারিত করা প্রয়োজন, যাতে করে সাধারণ মানুষ নৌপথের ওপর অধিক নির্ভরশীল হয় এবং সড়কের ওপর নির্ভরতা কমে আসে। এর ফলে ভূমির অপচয়ও কম হবে।

আদি যমুনা বাঁচাও আন্দোলনের আহ্বায়ক অধ্যক্ষ আশেক-ই-এলাহী বলেন, এ ভূখণ্ডের মানুষের সভ্যতা গড়ে উঠেছে নদী ও নৌপরিবহন ব্যবস্থাকে কেন্দ্র করে। বৃহত্তর খুলনা ও বরিশালসহ দেশের উপকূলীয় জনপদের মানুষের যাতায়াত ও পণ্য পরিবহনের প্রধান মাধ্যম ছিল নৌপথ। কিন্তু নদীগুলো মরে যাওয়ায় নৌপথ বিলুপ্ত হচ্ছে, জীববৈচিত্র্যও হুমকির মুখে পড়েছে। তবে বর্তমান সরকার নদ-নদী রক্ষাসহ নৌপরিবহন খাতের উন্নয়নে এ পর্যন্ত যেসব উদ্যোগ গ্রহণ করেছে, সেগুলো ইতিবাচক। উদ্যোগগুলো বাস্তবায়নের গতি আরো বাড়াতে হবে।

উন্নয়ন ধারা ট্রাস্টের সদস্য সচিব আমিনুর রসুল বাবুল বলেন, জনস্বার্থমূলক যেকোনো উদ্যোগ বাস্তবায়নের জন্য দরকার রাজনৈতিক সদিচ্ছা। বর্তমান সরকারের সেই সদিচ্ছা আছে। কারণ তারা দলীয় নির্বাচনী ইশতেহারে নদী রক্ষা ও নৌপরিবহন ব্যবস্থার উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি যুক্ত করেছে।

নির্বাচন-পরবর্তীকালে সরকার গঠনের পর এ বিষয়ে অনেকগুলো ইতিবাচক উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) যুগ্ম সম্পাদক ও বুড়িগঙ্গা বাঁচাও আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য সচিব মিহির বিশ্বাস বলেন, নদ-নদীসহ প্রাকৃতিক জলাভূমি রক্ষার ক্ষেত্রে বড় বাধা হচ্ছে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে রশি টানাটানি। এসব প্রতিরোধে ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশন, ঢাকা ওয়াসা, জেলা প্রশাসন, বিআইডব্লিউটিএ, পানি উন্নয়ন বোর্ড ও পরিবেশ অধিদপ্তরের মধ্যে সমন্বয় থাকতে হবে।

জিসিবির সাধারণ সম্পাদক আশীষ কুমার দে বলেন, জাতীয় স্বার্থে নদী রক্ষাসহ নৌ-খাতের উন্নয়নের লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যে পথে হেঁটেছিলেন, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও একই পথে হাঁটছেন। বঙ্গবন্ধু নিহত হওয়ার সময় অর্থাৎ ১৯৭৫ সালে নদী ড্রেজিংয়ের জন্য বিআইডব্লিউটিএ’র বহরে মাত্র সাতটি ড্রেজার ছিল। বর্তমান সরকার গত একযুগে সেই বহরে যুক্ত করেছে নতুন ৩৮টি ড্রেজার। খুব শিগগির আরো ৩৫টি ড্রেজার যুক্ত হচ্ছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here