অযত অবহেলায় নদী যে হুমকির মুখে পড়তে পারে বঙ্গবন্ধু তা গভীরভাবে উপলব্ধি করেছিলেন। যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ পুনর্গঠনের মতো কঠিন কাজের মধ্যেও তাই নদীর নাব্যতা সৃষ্টি ও উন্নয়নে বহুমাত্রিক কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করেছিলেন। ১৯৭৩ সালেই নদী খননে উদ্যোগী হয়েছিলেন। এটাও বুঝতে পেরেছিলেন, পাকিস্তানের রেখে যাওয়া একটি মাত্র ড্রেজার দিয়ে নিয়মিত নদী খনন সম্ভব নয়। এই ভাবনা থেকেই বিদেশ থেকে দু’দফায় সাতটি ড্রেজার সংগ্রহ করেছিলেন।
রাজনীতির বাইরে নদীবিধৌত এই ভ‚খÐের পরিবেশ-প্রতিবেশ নিয়েও সমান ভাবতেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। এই ভাবনা থেকেই দেশের হাওর-বাঁওড়, নদ-নদী ও অন্যান্য জলাভূমি উন্নয়নের রূপরেখা প্রণয়ন করেছিলেন। নৌ-পরিবহন ব্যবস্থা যাতে ব্যাহত না হয়, নৌপথের পলি অপসারণ ও নদী খনন কাজ যাতে সঠিকভাবে চলে, সেজন্য উদ্যোগ নিয়েছিলেন ড্রেজার সংগ্রহের। নৌ মন্ত্রণালয়কেও কিছুদিনের জন্য নিজের হাতে রেখেছিলেন। নদী ও নৌপথ নিয়ে বঙ্গবন্ধুর এই উপলব্ধি, এই ভাবনা তার জন্মশতবর্ষে এসে আরও বেশি প্রাসঙ্গিক। জাতির পিতার কালোত্তীর্ণ ভাবনা বাস্তবে রূপ দেওয়ার, সামনে এগিয়ে নেওয়া তাই সময়ের দাবি।
নদী ব্যবস্থাপনা
বাঙালিসহ এ ভখর সব জাতি-গোষ্ঠীর মানুষের আত্মপরিচয়ের মূলে রয়েছে নদী। বঙ্গবন্ধুও নিজেকে পরিচয় দিতেন ‘পানির দেশের মানুষ’ হিসেবে। অসমাপ্ত আত্মজীবনীতে লিখেছেন- ‘পানির দেশের মানুষ আমরা। পানিকে বড় ভালবাসি।’ নদীর প্রতি নিছক ব্যক্তিগত মুগ্ধতা নয়; নদী ব্যবস্থাপনার প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কেও তিনি ভেবেছিলেন পঞ্চাশের দশকেই। কেবল রাজনৈতিক দিক থেকেই নয়, নদী-ভাবনার ক্ষেত্রেও বঙ্গবন্ধু স্পষ্টতই এগিয়ে ছিলেন নিজের সময়ের চেয়ে। তাই তো ১৯৫৬ সালে নদী ও পানি ব্যবস্থাপনা বিষয়ে আওয়ামী লীগের সম্মেলনে দলের তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নিজের বক্তব্যে বলেছিলেন, ‘বন্যা পূর্ব পাকিস্তানিদের জীবনে নূতন নয়। কিন্তু বিজ্ঞানসমৃদ্ধ ও সম্পদ বলিষ্ঠ মানুষ অসহায়ের মত আজও প্রকৃতির রুদ্র পীড়ন সহ্য করিবে কিনা ইহাই হইল সবচেয়ে বড় সওয়াল। হোয়াংহো নদীর প্লাবন, দানিয়ুবের দুর্দমতাকে বশে আনিয়া যদি মানুষ জীবনের সুখ-সমৃদ্ধির পথ রচনা করিতে পারে, তবে পদ্মা, মেঘনা ও যমুনার মত শান্ত নদীকে আয়ত্ত করিয়া আমরা কেন বন্যার অভিশাপ হইতে মুক্ত হইব না?’ (দৈনিক আজাদ, ২০ মে ১৯৫৬)।
আওয়ামী লীগ প্রধান হিসেবে সত্তরের নির্বাচনের প্রাক্কালে রেডিও-টেলিভিশনে প্রদত্ত ভাষণে বঙ্গবন্ধু বলেন- ‘পানি সম্পদ সম্পর্কে গবেষণা এবং নৌ প্রশিক্ষণ গ্রহণ করার জন্য অবিলম্বে একটি নৌ-গবেষণা ইনস্টিটিউট স্থাপন করা প্রয়োজন।… বন্যা নিয়ন্ত্রণকে অবশ্যই প্রথম কর্তব্য হিসেবে বিবেচনা করতে হবে। জরুরি অবস্থার ভিত্তিতে একটা সুসংহত ও সুষ্ঠু বন্যা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা আশু প্রয়োজন।… যমুনা নদীর উপর সেতু নির্মাণ করে উত্তরবঙ্গের সাথে সরাসরি যোগাযোগ ব্যবস্থা স্থাপনের বিষয়টিকে আমরা সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিই।…অভ্যন্তরীণ নৌ ও সমুদ্র বন্দরের উন্নয়নকে অগ্রাধিকার দিতে হবে।’ (২৮ অক্টোবর, ১৯৭০)।
নদী কমিশন গঠন ও পানি কূটনীতি
বঙ্গবন্ধুই সর্বপ্রথম নদী কমিশন গঠন করে পানি কূটনীতি শুরু করেন। বঙ্গবন্ধুর বুঝতে বাকি ছিল না যে, বাংলাদেশের অভিন্ন প্রায় সব নদীর উজান যেহেতু ভারত, সেখান থেকে পানির প্রাপ্যতা নিশ্চিত করতে হবে সবার আগে। তাই স্বাধীনতার মাত্র দুই মাসের মাথায় ১৯৭২ সালের ১৯ মার্চ ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর সাথে বৈঠকে বিষয়টি তুলেছিলেন বঙ্গবন্ধু। তখনই ভারতের সাথে গঙ্গার পানিবণ্টনের ফর্মুলা নির্ধারণে জোরালো উদ্যোগ নেন। এ অঞ্চলের পানিসম্পদের সুষম বণ্টন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে যৌথ নদী কমিশন বা জেআরসি গঠনের আলোচনা এবং একটি স্থায়ী যৌথ নদী কমিশন গঠনের উদ্দেশে যৌথ ঘোষণাপত্রে স্বাক্ষর করেন। এ ঘোষণার পরিপ্রেক্ষিতে ১৯৭২ সালের নভেম্বরে যৌথ নদী কমিশন গঠিত হয়। ১৯৭৪ সালের ১৬ মে উভয় দেশের প্রধানমন্ত্রী একটি যৌথ ঘোষণাপত্রে একমত পোষণ করেন যে, বাংলাদেশ ও কলকাতা বন্দরের পূর্ণ চাহিদা মেটানোর জন্য শুষ্ক মৌসুমে ফারাক্কার কাছে গঙ্গা নদীতে পানির প্রবাহ বৃদ্ধি করা প্রয়োজন। এছাড়া কোনো চুক্তিতে উপনীত না হওয়া পর্যন্ত ফারাক্কা চালু হবে না। এ নিয়ে ১৯৭৫ সালের গোড়ার দিকে একটি অন্তর্বর্তীকালীন চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এ চুক্তির আওতায় ভাটির দেশ হিসেবে গঙ্গার পানির ৪৪ হাজার কিউসেক হিস্যা পাওয়ার সম্মতি আদায় করে নেন বঙ্গবন্ধু। যদিও বঙ্গবন্ধুর নির্মম হত্যাকাÐ-পরবর্তী সময়ে ভারত একতরফাভাবে গঙ্গার পানি প্রত্যাহার করে নিয়েছিল।
নাব্যতা ফেরানোর প্রয়াস
নদ-নদী বাংলাদেশের অস্তিত্বের অংশ এবং অদূর ভবিষ্যতে অনাদর-অবহেলায় এ সম্পদ যে হুমকির মুখে পড়তে পারেÑ বঙ্গবন্ধু তা গভীরভাবে উপলব্ধি করেছিলেন। যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ পুনর্গঠনের মতো কঠিন কাজের মধ্যেও তাই নদ-নদী খননকে প্রাধান্য দিতে ভোলেননি। নদীর নাব্যতা সৃষ্টি ও উন্নয়নে গ্রহণ করেন বহুমাত্রিক কর্মপরিকল্পনা।১৯৭৩ সালেই নদী খননের উদ্যোগ নেন। রাজবাড়ীর পাংশায় চন্দনা-বারাসিয়া নদী খননের মধ্য দিয়ে এই কাজের উদ্বোধন করেন। তখনই তিনি বুঝতে পেরেছিলেন, পাকিস্তানের রেখে যাওয়া ‘খনক’ নামের একটি মাত্র ড্রেজার দিয়ে বিশাল আয়তনের অভ্যন্তরীণ নৌপথের নিয়মিত পলি অপসারণ ও খনন সম্ভব নয়। এ উপলব্ধি থেকেই বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার পরপর বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডবিøউটিএ) জন্য দু’দফায় বিদেশ থেকে সাতটি ড্রেজার সংগ্রহ করেন; যেগুলো এখনও বিআইডবিøউটিএ’র বহরে যুক্ত ও সচল আছে।
মোংলা-ঘষিয়াখালী চ্যানেল চালু
সুন্দরবন নিয়েও বঙ্গবন্ধুর ভাবনা ছিল গভীর। প্রাকৃতিক এ বনাঞ্চলের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত শেলা নদীর বুক চিরে বাণিজ্যিক নৌযান চলাচল অব্যাহত থাকলে নিকট-ভবিষ্যতে সুন্দরবন ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে- জাতির জনকের মনে এমন আশঙ্কা তখনই সৃষ্টি হয়েছিল। আবার যেহেতু মোংলা সমুদ্র বন্দরের সাথে শিল্প ও বন্দরনগরী খুলনাসহ দেশের অন্যান্য স্থানের নৌ-যোগাযোগের প্রয়োজনে শুরু থেকেই শেলা নদী দিয়ে সব ধরনের বাণিজ্যিক জাহাজ চলাচল করত, তাই গুরুত্বপূর্ণ এই নৌপথটি বন্ধ করাও সম্ভব ছিল না। তাই মোংলা বন্দর ও খুলনার মধ্যে বিকল্প নৌপথ সৃষ্টির উপায় খুঁজতে থাকেন বঙ্গবন্ধু। তার নির্দেশে সেখানকার পরিস্থিতি সরেজমিন পরিদর্শনে যান তৎকালীন নৌ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকা মন্ত্রী জেনারেল আতাউল গণি ওসমানী। এখানেই দায়িত্ব শেষ করেননি বঙ্গবন্ধু, বিকল্প নৌপথ খুঁজতে পরবর্তী সময়ে নিজেও ছুটে যান মোংলায়। পরিদর্শন শেষে লুপ কাটিং ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে বাগেরহাট জেলার মোড়েলগঞ্জ উপজেলার ঘষিয়াখালী থেকে রামপাল উপজেলার বেতিবুনিয়া পর্যন্ত ৬ দশমিক ৫ কিলোমিটার সংযোগ খাল খনন করা হয়। এরপর ১৯৭৪ সালে চালু হয় মোংলা-ঘষিয়াখালী চ্যানেল; যার মূল লক্ষ্য ছিল- সুন্দরবনকে অক্ষত রেখে মোংলা সমুদ্রবন্দরের পণ্য আনা-নেওয়ার ক্ষেত্রে স্বল্প দূরত্বের বিকল্প পথ তৈরি করা। অল্পদিনের মধ্যেই নতুন নৌপথটি সার্বিক বিবেচনায় জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সাথে ঢাকা ও চট্টগ্রামসহ দেশের অন্যান্য স্থানের নৌ-যোগাযোগের ক্ষেত্রেও নতুন এ নৌপথটি জনপ্রিয়তা পায়। পরবর্তী সময়ে মোংলা-ঘষিয়াখালী নৌপথ ‘বাংলাদেশ-ভারত নৌবাণিজ্য প্রটোকল রুট’-এর অন্তর্ভুক্ত হয়।
বঙ্গবন্ধুর দূরদর্শী এই পদক্ষেপের মধ্যে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ দিক রয়েছে:
প্রথমত: মোংলা-ঘষিয়াখালী চ্যানেলটি মোংলা বন্দরের সাথে দূরত্ব কমিয়ে দেওয়ায় জাহাজ চলাচলের সময়, অর্থ ও জ্বালানি ব্যয় কমে গেছে।
দ্বিতীয়ত: বাংলাদেশ-ভারত নৌ প্রটোকল রুটের অন্তর্ভুক্ত হওয়ায় চ্যানেলটি আন্তর্জাতিক নৌপথের স্বীকৃতি পেয়েছে।
তৃতীয়ত: শেলা নদীর ওপর দিয়ে বাণিজ্যিক জাহাজ চলাচল বন্ধ হওয়ায় পরিত্যক্ত জ্বালানি তেল ও শব্দদূষণ থেকে সুন্দরবন রক্ষা পেয়েছে।
অভ্যন্তরীণ নৌপথের জরিপ প্রতিবেদন প্রকাশ
নেদারল্যান্ডসের সংস্থা নেডকোর একটি বিশেষজ্ঞ দল ১৯৬৫-৬৭ পর্যন্ত অভ্যন্তরীণ নৌপথের জরিপ চালালেও যথাসময়ে তা প্রকাশ করা হয়নি। পরে বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে তা প্রকাশ করা হয়। বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে ১৯৭৪ সালে বিআইডবিøউটিএ প্রকাশিত তথ্যে প্রথম জানা যায়, বাংলাদেশে নৌপথের দৈর্ঘ্য ২৫ হাজার ১৪০ কিলোমিটার; বঙ্গবন্ধু হত্যা-পরবর্তী ৩০ বছরে যা ৫ হাজার ৯৬৮ কিলোমিটারে নেমে আসে।
বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ যেমন অভিন্ন, তেমনি নদ-নদীসহ প্রাকৃতিক জলসম্পদ ও নৌ-পরিবহন ব্যবস্থাও এ দেশের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ; যার সাথে মিশে আছে জাতির পিতার নাম। বঙ্গবন্ধুই এ দেশের নদ-নদী ও নৌপথ রক্ষা এবং নৌ-পরিবহন ব্যবস্থার উন্নয়নের পথপ্রদর্শক।
বঙ্গবন্ধু কন্যার নির্দেশনায় নদী ফিরছে আপন সঞ্চরণে
স্বাধীনতা-পরবর্তী সময়ে যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ পুনর্গঠনের মতো শত ব্যস্ততার মধ্যেও নদী খননে মনোযোগী হন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। এর প্রায় সাড়ে তিন দশক পর একই পদাঙ্ক অনুসরণ করেন বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। নিয়মিত খনন ও পলি অপসারণের মাধ্যমে বিলুপ্ত নদ-নদী ও নৌপথ পুনরুদ্ধার এবং অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন ব্যবস্থার উন্নয়নের ঘোষণা দেন। ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারে বিষয়টি যুক্ত করেন তিনি। ২০০৯ সালে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নিয়ে ২০০৯-১৩ সময়কালে ১৪টি ড্রেজার সংগ্রহ করেন, যা দিয়ে নতুন উদ্যোগে নদী খনন ও পলি অপসারণের কাজ শুরু হয়। ২০০৯-১৫ সময়কালেই ১ হাজার ২০০ কিলোমিটার নৌপথ খনন করা হয়। সুন্দরবনের যাতে কোনো ক্ষতি না হয় সেজন্য চালু করেন বন্ধ হয়ে যাওয়া মোংলা-ঘষিয়াখালী নৌপথ।
আওয়ামী লীগের ২০১৮ সালের নির্বাচনী ইশতেহারে নদী-নৌপথকে আরও বিশেষ গুরুত্ব দেন প্রধানমন্ত্রী। ২০২৪ সালের মধ্যেই ১০ হাজার কিলোমিটার নৌপথ খননের ঘোষণা দেন, যাতে করে আন্তর্জাতিক সমুদ্রবন্দরের সাথে অভ্যন্তরীণ নৌপথগুলোর সংযোগ স্থাপনের মাধ্যমে আমদানি-রপ্তানি সুগম হয়। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বাণিজ্যকে সহজ করার লক্ষ্যে ভারতের সাথে নৌপথে বাণিজ্য আরও বাড়িয়ে একে নেপাল-ভুটান পর্যন্ত সম্প্রসারিত করার প্রতিশ্রতিও দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জোর দেন, ঢাকার চারপাশের নদী ও খালগুলোকে দখল-দূষণমুক্ত করে খননের মাধ্যমে নাব্যতা ফিরিয়ে এনে নদীতীরকে পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার ওপর।
নির্বাচনী প্রতিশ্রæতি পূরণের অংশ হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে নৌ-পরিবহন ব্যবস্থার উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে বর্তমান সরকার। অনেকগুলো যুগান্তকারী পদক্ষেপ এরই মধ্যে নেওয়া হয়েছে। ঢাকার চারপাশের নদীগুলো দখলমুক্ত করার পর নদীতীরে ওয়াকওয়ে নির্মাণ করা হচ্ছে। ২০২৪ সালের মধ্যেই যাতে ১০ হাজার কিলোমিটার নৌপথ খনন করা যায়, সেজন্য কেনা হচ্ছে আরও ৩৫টি ড্রেজার।
স্বাধীনতার পরপরই দূরদর্শী নানা পদক্ষেপের মধ্য দিয়ে ¯রাতস্বিনী নদীতে বাধাহীন নৌযানের স্বপ্ন বুনেছিলেন বঙ্গবন্ধু। শেখ হাসিনার শ্রম আর প্রজ্ঞায় বঙ্গবন্ধুর সেই স্বপ্ন ধীরে ধীরে পল্লবিত হচ্ছে। সঞ্চরণশীল-বেগবতী হচ্ছে শুষ্ক-শীর্ণ নদী ও নৌপথ।