বিআইডব্লিউটিএ নিয়মিত প্রকাশনা

বৃহস্পতিবার, জানুয়ারি ২৩, ২০২৫
16 C
Dhaka

বিআইডব্লিউটিএ নিয়মিত প্রকাশনা

বন্দরের সক্ষমতা বাড়াতে পারে হিন্টারল্যান্ড যোগাযোগে অভ্যন্তরীণ নৌপথের ব্যবহার

যেসব খাতের ওপর দাঁড়িয়ে ব্লু ইকোনমি বা সুনীল অর্থনীতি ধারণার নির্মাণ, সমুদ্রবন্দর ও জাহাজ চলাচলের অবস্থান নিঃসন্দেহে তার কেন্দ্রে। বৈশ্বিক বাণিজ্যের পরিমাণ হিসাবে নিলে এর ৯০ শতাংশই হয় সমুদ্রপথে বন্দরকে ঘিরে। এই বাণিজ্য কতটা নির্বিঘ্নে সম্পন্ন হবে, তা নির্ভর করে বন্দরের সক্ষমতা ও দক্ষতার ওপর। বন্দরের অবকাঠামো ও পরিচালন দক্ষতা এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ, তবে সব নয়। এর বাইরেও কিছু প্রভাবক আছে, যা বন্দরের সক্ষমতা বাড়িয়ে দিতে পারে। উন্নত হিন্টারল্যান্ড যোগাযোগ এর মধ্যে অন্যতম।

হিন্টারল্যান্ড যোগাযোগের একাধিক মাধ্যম থাকলেও এর দক্ষতা ও উপযোগিতা নির্ভর করে মূলত পণ্য পরিবহনের ব্যয়, সময়, পরিমাণ ও নিরাপত্তার ওপর। দ্রুত পণ্য পরিবহনের সুবিধার কারণে হিন্টারল্যান্ড যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে ব্যয়বহুল সড়কের ওপর নির্ভরতা অতি মাত্রায়। অথচ একসাথে বেশি পণ্য পরিবহন সুবিধা ও খরচের বিষয়টি বিবেচনায় নিলে অন্য দুই মাধ্যম, বিশেষ করে অভ্যন্তরীণ নৌপথই সর্বোত্তম। তারপরও পণ্য পরিবহনের হিস্যায় অভ্যন্তরীণ নৌপথ এখনো অনেক পিছিয়ে। এক্ষেত্রে কিছু সীমাবদ্ধতা যে নেই, তা নয়। নৌরুটগুলোয় কাঙ্ক্ষিত নাব্যতা ও আধুনিক অবকাঠামোর অনুপস্থিতির কথা এক্ষেত্রে বলাই যায়। তবে আশার কথা হলো, সুনীল অর্থনীতির সর্বোচ্চ সুফল ঘরে তুলতে অভ্যন্তরীণ নৌপথের নাব্যতা উন্নয়ন ও অবকাঠামো আধুনিকায়নের কাজগুলো নিরন্তরভাবে করে যাচ্ছে বিআইডব্লিউটিএ। এরই আনুপুঙ্খিক বিশ্লেষণ থাকছে এই সংখ্যার প্রধান রচনায়।

সব প্রতিবন্ধকতা ও বন্ধুর পথ পেরিয়ে সাহস, সক্ষমতা ও রাজনৈতিক দৃঢ়তার প্রতীক পদ্মা সেতু এখন বাস্তব। এর প্রভাব পড়তে শুরু করেছে যোগাযোগে, অর্থনীতিতে, ব্যবসা—বাণিজ্যে, সর্বোপরি দক্ষিণ ও দক্ষিণ—পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের জীবনমানে। বদলে গেছে অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহনের ছবিটাও। কেমন সেই বদল? থাকছে সেই আলোচনাও।

অভ্যন্তরীণ নৌপথে দুর্ঘটনার যেসব কারণ রয়েছে, মানবত্রুটি তার মধ্যে একটি। এ সমস্যার সমাধানে তাই সবার আগে দরকার দক্ষ ও প্রশিক্ষিত নাবিক। এটা নিশ্চিত করতে প্রয়োজন প্রশিক্ষণ সুযোগ—সুবিধা বুদ্ধির পাশাপাশি কিছু সংস্কার। সেই আলোচনা থাকছে ‘নাবিক নিয়োগ পরীক্ষা সনদায়নের চ্যালেঞ্জ ও উত্তরণ’ শীর্ষক বিশেষ রচনায়।

নিয়মিত আয়োজন হিসেবে বরাবরের মতোই এই সংখ্যায়ও থাকছে ‘প্রযুক্তি’ বিভাগ। সংক্ষিপ্ত কলেবরে এবারও আমরা তুলে এনেছি আমাদের নদী ও আমাদের বন্দরের কথা। পরিভ্রমণ করেছি দূর অতীতে, আমাদের ঐতিহ্যে। সেই সাথে থাকছে দেশ—বিদেশের নদী ও অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন খাত নিয়ে সবশেষ ঘটনাপ্রবাহের কথা ও ছবি।

প্রিয় পাঠক, আশা করি আমাদের এই প্রয়াস নদী ও নৌপথ নিয়ে আপনার জিজ্ঞাসার উত্তর দেবে। কিছুটা হলেও নতুন ভাবনার খোরাক জোগাবে। আপনার মূল্যবান মতামত, মন্তব্য ‘নদীবাংলা’র পথচলা আরও এগিয়ে নেবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here