ব্রিটেনের নদীগুলোর রাসায়নিক দূষণ পরিস্থিতি খুব মারাত্মক না হলেও বেশ খারাপ। এনভায়রনমেন্ট এজেন্সির তথ্য বলছে, দেশটির অর্ধেকের বেশি নদীতে ফসফরাসের পরিমাণ সহনীয় মাত্রার চেয়ে ঢের বেশি। এ ছাড়া হ্রদগুলোরও তিন-চতুর্থাংশে রাসায়নিকটির উপস্থিতি সীমার অতিরিক্ত। কৃষিতে ব্যবহৃত সার পানিতে শৈবালের বিস্তার ঘটাচ্ছে, যার ফল হিসেবে অক্সিজেনের পরিমাণ হ্রাস পাচ্ছে। চ‚ড়ান্ত পরিণতি হিসেবে জলজ প্রাণী মারা যাচ্ছে।
এ ছাড়া ওষুধ ও গৃহস্থালি দ্রব্যের কারণে যুক্তরাজ্যের নৌপথগুলোতে ব্যাপক পরিসরে রাসায়নিক দূষণের প্রমাণ পাওয়া গেছে। তবে উপাত্তের অভাবে এর সুনির্দিষ্ট মাত্রা পরিমাপ করাটা কঠিন।
কলনি ভ্যালি ফিশারিজ কনসালটেটিভ নামের একটি নদী রক্ষা গ্রæপ বলেছে, তাদের নিজস্ব পরীক্ষায় নদী ও ধারাগুলোতে বিপুল পরিমাণ মাইক্রো পলিউট্যান্ট পাওয়া গেছে।
বর্জ্য থেকে নদীতে ফসফরাস দূষণ ২০৩৮ সালের মধ্যে ৮০ শতাংশ কমানোর লক্ষমাত্রা বেঁধে দিয়েছে যুক্তরাজ্যের ডিপার্টমেন্ট অব এনভায়রনমেন্ট, ফুড অ্যান্ড রুরাল অ্যাফেয়ার্স (ডেফ্রা)। সেই সাথে বিপুল সংখ্যক বর্জ্য পরিশোধন প্ল্যান্টকে ফসফরাস বিযুক্তকরণ প্রক্রিয়া উন্নত করার শর্ত জুড়ে দিয়েছে। সরকারের পরিবেশ উন্নয়ন পরিকল্পনার মধ্যেও ২০৩৮ সাল নাগাদ ফসফরাসসহ কৃষি থেকে নদীদূষণ ৪০ শতাংশ কমানোর কথা অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। বেক্সিট-পরবর্তী ভর্তুকির মাধ্যমে এটা করা হবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে। এই ভর্তুকির উদ্দেশ্য হচ্ছে প্রকৃতিবান্ধব কৃষিকে উৎসাহিত করা।
যদিও এই ভর্তুকি কৃষকদের রাজি করানোর মতো যথেষ্ট ও দীর্ঘমেয়াদি হবে কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সমালোচকরা। তবে পরিবেশ উন্নয়ন পরিকল্পনায় উল্লেখিত লক্ষ্যমাত্রা অর্জনযোগ্য বলে দাবি করেছেন ডেফ্রার একজন মুখপাত্র। তিনি বলেন, গত দুই দশকে নদীতে ফেলা পরিশোধিত বর্জ্যে ফসফরাসের পরিমাণ ৬৭ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে।
খবর: আইনিউজ