নদীতে নাব্যতা হ্রাস এবং কর্মী নিয়োগের সমস্যা থেকে শুরু করে মূল্যস্ফীতির কারণে ব্যয় বৃদ্ধি এসব কারণে অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন খাত যে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে রাখঢাক না করেই সম্প্রতি অনুষ্ঠিত মেরিন ফাইন্যান্স ফোরামে তা তুলে ধরেছেন খাত সংশ্লিষ্টরা। মেরিন মানি নিউ অরলিন্সে এই ফোরামের আয়োজন করে।
এন্টারপ্রাইজ মেরিন সার্ভিসেসের প্রেসিডেন্ট ল্যান্স স্যানিনো বলেন, সামনে এগিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে কর্মী স্বল্পতা আমাদের বড় প্রতিবন্ধক। কীভাবে আমরা নতুন কর্মীদের এ খাতে আকৃষ্ট করব সেটা একটা চ্যালেঞ্জ। এই ব্যবসাকে এগিয়ে নিতে পরিবারগুলোর ওপর প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে আমরা নির্ভর করে চলেছি এবং সেটার অবসান ঘটতে যাচ্ছে।
আমেরিকান কমার্শিয়াল বার্জ লাইনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মাইক এলিস বলেন, আমাদের এই শিল্প ব্যবসার ধরনটা চক্রাকৃতির। এই বাজারের একটা বড় সমস্যা হয়ে দেখা দিয়েছে প্রশিক্ষণ এবং কম ব্যস্ততার সময়ে কর্মীদের প্রশিক্ষণ না দেওয়ায় আমরা সেবা পাচ্ছি না। আমরা সবাই একটা বিষয় শিখেছি এবং তা হলো ধারাবাহিকভাবে প্রশিক্ষণ চালু রাখা। প্রতিযোগীদের কাছ থেকে কর্মী ভাগিয়ে এনে আমরা সমস্যার সমাধান করতে পারি বটে, তবে সেটা সামগ্রিক সমাধান নয়।
কিরবি মেরিন ট্রান্সপোর্টেশন গ্রুপের প্রেসিডেন্ট ক্রিস্টিয়ান ও’নিল বলেন, দুর্ঘটনা ও তেল নিঃসরণের ব্যাপারে আমাদের কোনো ভুল করা যাবে না। আপনি যদি তেল নিঃসরণ ও হতাহত এবং যন্ত্রপাতির ক্ষতি শূন্যে নামিয়ে আনতে না পারেন তাহলে আগামী ১০ বছর আমরা এখানে থাকতে পারব না।
তিনি বলেন, মূল্যস্ফীতি সবকিছুর দাম বাড়িয়ে দিয়েছে এবং উচ্চ সুদহার ও স্টিলের চড়া দাম বিনিয়োগকারীদের নতুন বিনিয়োগে নিরুৎসাহিত করছে। কিরবিতে প্লেট স্টিলের দাম ২০৮ শতাংশ ও অয়েল ফিল্টারের ১২৩ শতাংশ বেড়েছে। ক্রু পরিবর্তনের খরচ বেড়েছে ২০ শতাংশ।
এলিস বলেন, নৌপথের অবকাঠামো উন্নয়নে কংগ্রেস ২৫০ কোটি ডলার অনুমোদন করেছে। কিন্তু ড্রেজিংয়ের দিকেও মনোযোগ দিতে হবে। আমাদের রয়েছে বিশ্বের সবচেয়ে দক্ষ নৌপরিবহন ব্যবস্থা। যদিও ড্রেজিংয়ের জন্য আমরা আর্মি কোর অব ইঞ্জিনিয়ার্সকে তহবিল দিচ্ছি না, ব্যবস্থাটি ধরে রাখতে যেটি প্রয়োজন।
খবর: ওয়ার্কবোট