পরিবহন ও যোগাযোগ খাতের মোট কর্মসংস্থানে অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন (আইডব্লিউটি) খাতের হিস্যা খুব বেশি নয়। বৈশ্বিক হিসাবে ২০২০ সালে এ হার ছিল মাত্র দশমিক ৩৯ শতাংশ। যদিও বাংলাদেশে এ হার অনেক বেশি। আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) ‘অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন খাতে শোভন ও টেকসই কর্মসংস্থান ২০২৩’ শীর্ষক প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে সার্বিক পরিবহন, স্টোরেজ ও যোগাযোগ খাতের মোট কর্মসংস্থানে অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন খাতের হিস্যা দশমিক ৯৩ শতাংশ।
এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে সার্বিক পরিবহন ও যোগাযোগ খাতের মোট কর্মসংস্থানে অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহনের হিস্যা বেশি কেবল মিয়ানমার ও ভিয়েতনামের। মিয়ানমারে সার্বিক পরিবহন ও যোগাযোগ খাতের কর্মসংস্থানে অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন খাতের হিস্যা ২ দশমিক ৪৫ শতাংশ এবং ভিয়েতনামে ১ দশমিক ৪৪ শতাংশ।
এশিয়ার অন্যান্য দেশে মধ্যে পাকিস্তানে সার্বিক পরিবহন ও যোগাযোগ খাতের কর্মসংস্থানে অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন খাতের হিস্যা দশমিক ৩৪ শতাংশ, থাইল্যান্ডে দশমিক ২৫ শতাংশ ও ফিলিপিন্সে দশমিক ১৫ শতাংশ।
তবে প্রতিবেশি ভারতে বিস্তৃত অভ্যন্তরীণ নৌপথ থাকলেও সার্বিক পরিবহন, স্টোরেজ ও যোগাযোগ খাতের কর্মসংস্থানে অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন খাতের হিস্যা এখনো খুবই কম, মাত্র দশমিক শূন্য ৭ শতাংশ।
এদিকে অন্যসব খাতের মতোই অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন খাতের কর্মসংস্থানেও পুরুষদেরই আধিপত্য। বৈশ্বিক হিসাবে সার্বিক পরিবহন, স্টোরেজ ও যোগাযোগ খাতের কর্মসংস্থানে অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন খাতে কর্মরত পুরুষের হিস্যা দশমিক ৪৩ শতাংশ। এর বিপরীতে নারীদের হিস্যা মাত্র দশমিক ২ শতাংশ।