বিআইডব্লিউটিএ নিয়মিত প্রকাশনা

বৃহস্পতিবার, জানুয়ারি ২৩, ২০২৫
17 C
Dhaka

বিআইডব্লিউটিএ নিয়মিত প্রকাশনা

বন্দরের জট কমাতে অভ্যন্তরীণ নৌপথে বিনিয়োগ বাড়ানোর সুপারিশ

সরবরাহ ব্যবস্থার বিশৃঙ্খলার কারণে মার্কিন সমুদ্রবন্দরগুলোতে জাহাজজট তৈরি হয়েছে, যা ভোক্তাদের ব্যয় বাড়িয়ে দিচ্ছে। এ থেকে উত্তরণে অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন ব্যবস্থায় বিনিয়োগ বাড়ানোর সুপারিশ করা হয়েছে বাইডেন প্রশাসনের তৈরি নতুন এক প্রতিবেদনে। এর ফলে সমুদ্রবন্দরগুলোর জাহাজজট কমবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে প্রতিবেদনে।

প্রতিবেদনে মোট ৬০টি সুপারিশ করা হয়েছে। দেশটির অভ্যন্তরীণ নৌপথে পুরনো লক ও ড্যাম ব্যবস্থার আধুনিকায়ন এর অন্যতম। ফ্রেইট ও লজিস্টিকস সাপ্লাই চেইনের ভঙ্গুরতার ওপর প্রতিবেদনে আলোকপাত করা হয়েছে। জাহাজ থেকে দোকানের তাকে দ্রুত পণ্য পৌঁছে দিতে ওয়াশিংটন, রাজ্য সরকার ও বেসরকারি কোম্পানিগুলো কী পদক্ষেপ নিতে পারে, প্রতিবেদনে তা-ও তুলে ধরা হয়েছে। বিশেষ করে অভ্যন্তরীণ নৌপথের কার্যক্ষমতা ও সক্ষমতা বাড়াতে বিনিয়োগের সুপারিশ করা হয়েছে প্রতিবেদনে। তবে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কোনো প্রকল্পের তালিকা এখানে দেওয়া হয়নি। এই দায়িত্ব অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন ব্যবস্থা পরিচালনা ও ব্যবস্থাপনার দায়িত্বপ্রাপ্ত আর্মি কোর অব ইঞ্জিনিয়ারসের ওপর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এই উন্নয়নের জন্য বাজেট কত হবে উল্লেখ করা হয়নি তাও।

দেশটির পরিবহন বিভাগ বলেছে, সুপারিশের অনেক কাজ এরই মধ্যে শুরু করা হয়েছে। এর অংশ হিসেবে দ্বিদলীয় অবকাঠামো আইন পাস হয়েছে। এর আওতায় মার্কিন ইতিহাসে বন্দরগুলোতে সর্বোচ্চ বিনিয়োগ হচ্ছে।

নতুন আইনের আওতায় মার্কিন বন্দরগুলোর জন্য ৪৫ কোটি ডলার অনুদান পাওয়ার কথা সম্প্রতি ঘোষণা করেছে পরিবহন বিভাগ। সরবরাহ বিলম্ব ও বিশৃঙ্খলার জন্য দায়ী পুরনো বন্দর অবকাঠামোয় ফেডারেল সরকারের কাছ থেকে পাওয়া এটাই এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড় বিনিয়োগ। নতুন বার্থ নির্মাণ, ডক প্রতিস্থাপন ও রেললাইন সম্প্রসারণে ব্যয় হবে এই অর্থ।

আন্তর্জাতিক সরবরাহ শৃঙ্খল খুবই জটিল ও আন্তসম্পর্কিত ব্যবস্থা, যার অধীনে আছে আমাদের প্রাত্যহিক জীবনে ব্যবহৃত পণ্যের উৎস, উৎপাদন, পরিবহন ও বিক্রয়। মহামারির সময় ভোক্তাদের পণ্য ক্রয়ের অভ্যাসে পরিবর্তন এবং বিদেশি পণ্যের চাহিদা আকাশচুম্বী হলে সরবরাহ ব্যবস্থায় সমস্যা তৈরি করে। একই সময়ে কর্মী ছাঁটাই, স্থানীয় উৎপাদন হ্রাস বা বন্ধ এবং কোভিডের কারণে ট্রাক ও বন্দরের অনেক কাজ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় পরিস্থিতি আরও খারাপ আকার ধারণ করে। বন্দরের জট এখন এ যাবৎকালের সর্বোচ্চ পর্যায়ে রয়েছে এবং এ বছরের পুরোটা সময়জুড়ে তা থাকবে। এমনকি ২০২৩ সালেও সমস্যাটির মোকাবেলা করতে হতে পারে।

খবর : ওয়ার্কবোট

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here