বিআইডব্লিউটিএ নিয়মিত প্রকাশনা

বৃহস্পতিবার, জানুয়ারি ২৩, ২০২৫
16 C
Dhaka

বিআইডব্লিউটিএ নিয়মিত প্রকাশনা

নদী দখলকারীদের তালিকা যাচাই-বাছাই চলছে : নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী

দখলদারদের হাতে নদী থাকবে না, উদ্ধার হবেই-এই মন্তব্য করে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহ্‌মুদ চৌধুরী, এমপি বলেছেন, যারা নদী দখল করেছে তাদের তালিকা করা হয়েছে। এখন তা যাচাই-বাছাই চলছে। নদীর প্রবাহ ধরে রাখতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই উদ্যোগ নিয়েছেন।

খুলনার রূপসা সেতুর নিচে টোলঘাটে ১০ মার্চ সংবাদ আলোকচিত্রী কাকলী প্রধানের ১০০ নদীর উন্মুক্ত আলোকচিত্র প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী বলেন, নদীর প্রবাহ বন্ধ হয়ে গেলে দেশের আর প্রাণ থাকবে না।

নৌপথ দখল ও দুষণমুক্ত করে নাব্যতা ফিরিয়ে এনে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলার অঙ্গীকার নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছি-এমন মন্তব্য করে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী বলেন, নৌপথ ও নদী রক্ষার জন্য যারা কাজ করছেন তাদের পাশে বর্তমান সরকার রয়েছে। কাকলী প্রধান নদী নিয়ে যে আয়োজন করেছেন সেটা সবার মধ্যে ছড়িয়ে পড়ুক।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় ১০ হাজার কিলোমিটার নৌপথ খননের কাজ হাতে নেয়া হয়েছে। এরই মধ্যে বিআইডব্লিউটিএ’র ড্রেজিং সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য ৮০টি ড্রেজার সংগৃহীত হয়েছে।

অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক, বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান কমডোর আরিফ আহমেদ মোস্তফা ও সংবাদ আলোকচিত্রী কাকলী প্রধান।

সংবাদ আলোকচিত্রী কাকলী প্রধান এবং শিশু সংগঠন ‘ইকরিমিকরি’ সাধারণ মানুষের কাছে নদীর বিপন্নতা ও শিশুদের কাছে নদীর রূপ, প্রকৃতি তুলে ধরার কাজ করছেন। এ লক্ষ্যে তিন দিনব্যাপী ১০০ নদীর উন্মুক্ত আলোকচিত্র প্রদর্শনী কক্সবাজারের টেকনাফের দমদমিয়া বিআইডব্লিউটিএ’র জেটিঘাটে নাফ নদীর পাড়ে ২৪ থেকে ২৬ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হয়।

উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বিআইডব্লিউটিএ’র বিদায়ী চেয়ারম্যান কমডোর গোলাম সাদেক বলেন, আমাদের শরীরের রক্তশিরার মতোই বাংলাদেশের নদীগুলো প্রবাহিত হচ্ছে। আমাদের রক্তশিরা বন্ধ হয়ে গেলে যেমন বাঁচতে পারব না, তেমনি আমাদের নদীগুলোও যদি বন্ধ হয়ে যায় আমাদের দেশটা মরে যাবে, আমাদের অর্থনীতি অগ্রগতি ধরে রাখতে পারব না। তাই সবার অবস্থান থেকে নদী দখল-দূষণ বিষয়ে সচেতন থাকতে হবে। আমাদের দায়িত্ব শুধু নদী রক্ষা না, নদীভিত্তিক যে সৌন্দর্য সেটা সারা বিশ্বে, সারা দেশে ছড়িয়ে দেওয়া, যাতে আমাদের দেশের নদীর সৌন্দর্য উপভোগ করতে আরও বেশি পর্যটক আকৃষ্ট হন। এতে আমাদের অর্থনীতির ওপর যেমন বিরাট প্রভাব পড়বে তেমন বাংলাদেশের সৌন্দর্যের সুনাম চারদিকে ছড়িয়ে পড়বে। পরবর্তী প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয় বরিশালে কীর্তনখোলা নদীর পাড়ে ড্রেজার বেইজে ১৬ থেকে ১৮ মার্চ এবং ঢাকার শ্যামপুর ইকোপার্কে ২০ থেকে ২২ মার্চ। আলোকচিত্র প্রদর্শনীগুলোয় সহযোগিতা করেছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here