দেশের ৪৮ নদীর দখল, দুষণ ও নাব্যতা নিয়ে যে প্রতিবেদন দেওয়া হয়েছে, সেখানে কোনো তথ্য মুছে ফেলা হয়নি বলে দাবি করেছেন জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান মনজুর আহমেদ চৌধুরী।
ঢাকায় জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ ভবনে ২৫ জানুয়ারি এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ৪৮ নদীর সমীক্ষা তিন বছরের প্রকল্প ছিল। তবে পাঁচ বছর সময় নিয়ে গত বছরের ডিসেম্বরে সমীক্ষার প্রতিবেদন চেয়ারম্যান বরাবর জমা দেওয়া হয়েছে। ৪৮ নদীর সমীক্ষার যে প্রতিবেদন দেওয়া হয়েছে, জেলা প্রশাসকদের যাচাই-বাছাইয়ের পর তার চূড়ান্ত ও সঠিক প্রতিবেদন দেওয়া হবে।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, আপাতদৃষ্টিতে মনে হয়েছে সমীক্ষা সঠিক হয়নি এবং কিছু কিছু ত্রæটি ধরা পড়ছে। তাই যাচাই-বাছাই করার জন্য তালিকাগুলো জেলা প্রশাসক বরাবর পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। জেলা প্রশাসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার পর চ‚ড়ান্ত প্রতিবেদন তৈরি করে আমাদের নিজস্ব সার্ভারে দেবেন।
ত্রæটির উদাহরণ দিতে গিয়ে তিনি বলেন, আড়িয়াল খাঁ নদীর তিন ভাগের এক ভাগ সমীক্ষা না করে প্রতিবেদন তৈরি করে জমা দেওয়া হয়েছে। এরকম আরও নদীর ক্ষেত্রেও হয়েছে। আবার দেখা গেছে, দখলদার হলো একজন, কিন্তু নাম দেওয়া হয়েছে আরেকজনের। এখানে অন্য উদ্দেশ্য আছে।
মনজুর আহমেদ বলেন, ৩৯টি বড় ধরনের ত্রুটি পাওয়া গেছে। আর সমীক্ষা পানি আইনের উপর ভিত্তি করে করা হয়েছে, যা ঠিক হয়নি। এই সমীক্ষাকে অনেক কিছুর (অন্য আইন) উপর নির্ভর করতে হয়।